Senior Citizen:সামনেই রিটায়ারমেন্ট? এই প্রকল্পগুলিতে বিনিয়োগের ভাবনা রয়েছে তো?
আধুনিক চিকিৎসা ও জীবনকৌশলের ফলে সার্বিক ভাবে মানুষের গড় আয়ু যে বেড়েছে, সে কথা আশপাশে তাকালেই মালুম হয়। কিন্তু প্রশ্ন হল, জীবনের শেষ পর্যায়ে থাকা মানুষগুলো অর্থাৎ প্রবীণদের বেঁচে থাকা যাতে সুষ্ঠু ও নির্ঝঞ্ঝাট হয়, সে জন্য আগে থেকে কি কিছু ভাবা যায় না? এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে পারে প্রবীণদের আর্থিক পরিস্থিতি যার জন্য সময়মতো সঞ্চয় জরুরি। (ছবি:PIXABAY)
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appতবে শুধু সময়মতো সঞ্চয় নয়, ঠিকঠাক সঞ্চয়ের দিকেও নজর দেওয়া দরকার। প্রবীণদের জন্য এমন একাধিক সঞ্চয় প্রকল্প চালু রয়েছে আমাদের দেশে।
প্রবীণদের অনেকেই সঞ্চয়ের জন্য এমন প্রকল্পে ভরসা রাখতে চান যেখানে তাঁদের জীবনভরের পুঁজি নিরাপদ থাকবে। এমনই একটি প্রকল্প, ২০০৪ সালের অগাস্ট থেকে শুরু করেছে ভারত সরকার। নাম, Senior Citizen Saving Scheme।
সাধারণ ভাবে ষাটোর্ধ্ব ভারতীয়রা এই প্রকল্পে সঞ্চয় করতে পারেন। তবে কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে। এর সুদের হার প্রত্যেক ত্রৈমাসিকে পুনর্মূল্যায়ন করা হয়। তবে ঝুঁকি প্রায় নেই বললেই চলে। ১ হাজার টাকা থেকে ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জমানো যেতে পারে এই প্রকল্পে। (ছবি:PIXABAY)
দ্বিতীয় যে প্রকল্পটি প্রবীণদের জন্য সুবিধাজনক হতে পারে, তার নাম Post Office Monthly Income Scheme। এখানে প্রত্যেক মাসে নির্দিষ্ট সুদ পাওয়া যায়।তবে এটি যে শুধু প্রবীণদের জন্যই, তা নয়। ১৫০০ টাকা থেকে সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত এই প্রকল্পে জমানো যেতে পারে। যৌথ নামে সঞ্চয় করা হলে অর্থের পরিমাণ বাড়তে পারে।
Senior Citizen Fixed Deposits। কোভিড অতিমারির সময় প্রবীণদের মধ্যে যে আর্থিক অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল, সে কথা মাথায় রেখেই এই প্রকল্প চালু করা হয়। ষাটোর্ধ্ব যে কোনও ভারতীয় দীর্ঘমেয়াদি এই আমানত করতে পারেন। ৬ মাস থেকে ৫ বছর, এর মধ্যে একাধিক মেয়াদের জন্য আমানত করা যায়। তবে সুদের হার নির্দিষ্ট নয়। এক একটি ব্যাঙ্ক এক এক রকম সুদ দেয়।
২০১৭ সালে চালু করা হয়, Pradhan Mantri Vaya Vandana Yojana। এলআইসি দ্বারা পরিচালিত এই প্রকল্প অবসরকালীন-পেনসনের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছিল। তবে এক্ষেত্রে ন্যূনতম যে অঙ্ক বিনিয়োগ করতে হয়, তা বাকি প্রকল্পের তুলনায় অনেকটাই বেশি- দেড় লক্ষ টাকা। একমাত্র এলআইসি-ই এই প্রকল্পের ব্যবস্থা করে থাকে।
এছাড়া রয়েছে মিউচুয়াল ফান্ড। এর মাধ্যমে একাধিক বিনিয়োগকারীর থেকে টাকা নিয়ে নানা ধরনের অ্যাসেট, যেমন 'ইক্যুয়িটি' বা 'ডেট' ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা হয়। 'ফান্ড ম্যানেজার' নামে এক ধরনের বিশেষজ্ঞ এক্ষেত্রে এটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেন যে, যে জন্য বিনিয়োগ করা হচ্ছে সেই লক্ষ্য যেন ছোঁয়া যায়।
বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ মনে করেন, মূল্যবৃদ্ধি যেখানে বাকি প্রকল্পগুলিকে প্রভাবিত করতে পারে, মিউচুয়াল ফান্ড সেখানে গা বাঁচিয়ে চলার ক্ষমতা রাখে। তবে এর কোনওটাই ধ্রুব সত্য নয়। একাধিক বিষয়ের উপর নির্ভরশীল। তাই বিনিয়োগের আগে কোনও বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে নেওয়াই জরুরি।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -