কার্ডে করোনা-মুক্তি? খাদ্যমন্ত্রীর গলাতেই এয়ার স্টেরিলাইজেশন কার্ড, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
ভারত সরকার কী করবে? কার্ড নিষিদ্ধ হবে, না কি, এভাবেই বিজ্ঞান নয়, গো মূত্র-গোবর-পাঁপড়-রোদ্দুরে দাঁড়িয়ে থাকার মতো নানা বিশ্বাসে ভরসা করেই মনকে সান্তনা দেওয়া চলবে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব নিছকই বুজরুগি! এতে সঙ্গে করোনা তাড়ানোর কোনও সম্পর্ক নেই। গত মার্চেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের Environmental Protection Agency দাবি করেছে, এয়ার স্টেরিলাইজেশন কার্ডের কার্যকারিতা পরীক্ষিত নয়। এমনকি কার্ডের প্যাকেটে ইংরেজিতে লেখা না থাকায়, উপাদানের বিষয়ে মার্কিন নাগরিকদের বোঝার সমস্যা রয়েছে। তাই আমেরিকা এই কার্ডের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
গোটা বিশ্বের তাবড় বিজ্ঞানীরা যখন করোনার ভ্যাকসিন খুঁজে চলেছেন, তখন এই কার্ড কোথা থেকে এল? প্যাকেটে লেখা, মেড ইন জাপান। বাকি কথা ইংরেজি বা ভারতীয় কোনও ভাষাতেই লেখা নেই।
যেমন বড়বাজারেই দেদার বিক্রি হচ্ছে এই কার্ড। করোনা আবহে কার্ডের চাহিদাও এখন আকাশ ছোঁয়া।
অনলাইনে দাম ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা। তবে খোলা বাজারে মিলছে ৫০ টাকাতেও।
পোশাকি নাম ‘এয়ার স্টেরিলাইজেশন কার্ড’। অনলাইন-অফলাইন দুই জায়গাতেই বিক্রি হচ্ছে।
খোদ মন্ত্রীর গলায় ঝুলছে এই কার্ড! না আই কার্ড নয়, এটা না কি করোনা ঠেকানোর কার্ড! গলায় ঝোলালেই ধারেকাছে ঘেঁষবে না করোনা বাবাজি! যাঁরা পরছেন, তাঁরা বলছেন! কার্ডের নেপথ্যে কি কোনও বিজ্ঞান আছে? না অতশত কেউ জানেন না! না জেলেই গলাতে ঝুলছে কার্ড ! আর শুধু মন্ত্রীমশাই নয়, তাঁর সহযোগী তৃণমূল কাউন্সিলরের গলাতেও সেই করোনা তাড়ানোর কার্ড!