পাড়ার দোকান থেকে প্রতিষ্ঠিত বস্ত্র বিপণী কিংবা ই-কমার্স সংস্থা, সর্বত্রই মাস্কের রমরমা বাজার
মাস্কে মুখ ঢেকে রাস্তায় বেরলে, আপনাকে চেনা যাবে কি না, তা নিয়ে ভাবছেন? কুছ পরোয়া নেহি! আপনার মুখাবয়ব মাস্কে প্রিন্ট করে দেওয়ার ব্যবস্থাও চালু হয়ে গেছে।
অনেকে বলছেন, করোনা-উত্তর বিশ্বে মাস্ক এখন নতুন স্টাইল স্টেটমেন্ট।
পাড়ার দোকান থেকে প্রতিষ্ঠিত বস্ত্র বিপণী কিংবা ই-কমার্স সংস্থা, সর্বত্রই মাস্কের রমরমা বাজার। কোথাও লাল-নীল-হলুদ-সবুজ রঙের বাহার।
কোথাও আবার ডিজাইনার মাস্ক। কোনওটায় কবিতার লাইন ছাপানো, কোনওটায় কার্টুনের চরিত্র!
ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনা-লকডাউনের আবহে একদিকে জামা-কাপড়ের বিক্রি কমেছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মাস্কের বিক্রি। ফলে এখন বিভিন্ন দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড মাস্ক তৈরি শুরু করেছে।
চিকিৎসকরা নির্দিষ্ট মাস্ক ব্যবহারের বললেও, গত কয়েকমাসে বাজারে মাস্কের চাহিদা বেড়ে গিয়েছে হু হু করে। জামাকাপড়ের সঙ্গে মাস্কও হয়ে উঠেছে পুরোদস্তুর ফ্যাশন স্টেটমেন্ট। আর চাহিদা বুঝে বিক্রেতারাও যেখানে পেরেছেন, মাস্কের পসরা সাজিয়ে বসে পড়েছেন।
জামাকাপড়ের আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলিও এখন পাল্লা দিয়ে মাস্ক উৎপাদন করছে। ই-কমার্স ওয়েবসাইটগুলিও এই ধরনের ব্র্যান্ডেড মাস্কে ছেয়ে গিয়েছে।
কোথাও কোথাও তার দামও রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো। এমনকী, হাজার টাকার মাস্কও বিকোচ্ছে অনলাইনে।
সদ্য খোলা কলকাতার একটি শপিং মলে গিয়েও দেখা গেল, ব্র্যান্ডেড মাস্ক আসতে শুরু করেছে একাধিক বস্ত্র বিপণিতে। দক্ষিণ কলকাতার শপিং মলে এই দুই সংস্থার বিপণিতে ইতিমধ্যেই ডিজাইনার মাস্ক হাজির।
ক্রমবর্ধমান চাহিদার সঙ্গে সঙ্গে ফ্যাশন স্টেটমেন্টের দিকেও নজর রাখছে সংস্থাগুলি। অফিস যাবেন? তার জন্য ফর্মাল মাস্ক। আবার অন্য জায়গায় যেতে হলে ইনফর্মাল মাস্কও আছে।
মোজা-রুমালের মতো সেট হিসেবেও বিক্রি হচ্ছে মাস্ক। কোনও প্যাকেটে ৪টে, কোনওটায় ৫টা। দাম ঘোরাঘুরি করছে ৫০০ টাকার মধ্যেই।
মাস্কের বিক্রি যেভাবে হু হু করে বাড়ছে, তা দেখে অনেকে বলছেন, এবার পুজোতেও চাহিদার নিরিখে জামাকাপড়কে টেক্কা দেবে মাস্ক।