ডিজিটাল অ্যারেস্টের ফাঁদে আটকে চারদিন ! লাখ লাখ টাকা খোয়ানোর পর প্রাণও চলে গেল অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চিকিৎসকের
কারো কাছে প্রতারকদের থেকে কোনও রকম এধরনের কল এলে ভয় পাবেন না। কোনও প্রতারকের সঙ্গে ব্যাঙ্কের কোনও রকম নথি বা ওটিপি শেয়ার করবেন না। অবিলম্বে নিকটবর্তী পুলিশকে জানান। সুরক্ষিত থাকুন।
ওই অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চিকিৎসককে নিজের পেনশন অ্যাকাউন্ট থেকে ৬.৬ লাখ টাকা ট্রান্সফার করতে বাধ্য করে প্রতারকরা। ছবিটি প্রতীকী
1/10
ফাঁদ পেতেছিল ডিজিটাল প্রতারকরা। সে ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি মহিলা কর্মী। ফলস্বরূপ, শুধু যে টাকা খোয়ালেন তাই নয়। প্রাণটাই চলে গেল তাঁর।
2/10
টানা চারদিন ওই অবসরপ্রাপ্ত মহিলা সরকারি চিকিৎসকের উপর মানসিকভাবে নির্যাতন চালিয়ে গিয়েছে ডিজিটাল প্রতারকরা। নিজেদের আইনের রক্ষক পরিচয় দিয়ে তারা ওই সরকারি চিকিৎসককে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করে রাখে।
3/10
৭৬ বছর বয়সী ওই অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চিকিৎসক হায়দরাবাদের বাসিন্দা। সেপ্টেম্বর ৫ থেকে সেপ্টেম্বর ৮, এই চারদিন তিনি ডিজিটাল প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়ে ডিজিটাল অ্যারেস্টের শিকার হয়েছিলেন।
4/10
পুলিশ সূত্রের খবর, ৫ সেপ্টেম্বর ওই মহিলা একটি হোয়াটসঅ্যাপ কল পান, যেখানে বেঙ্গালুরু পুলিশের লোগো দেখিয়ে তাঁকে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করা হচ্ছে বলে জানানো হয়। তাঁর আধারের তথ্য সহ জাল নথি ব্যবহার করে একটি ভুয়ো "সাদাত খান মানব পাচার মামলায়" মিথ্যাভাবে জড়িত হিসেবে দেখানো হয়।
5/10
এরপর টানা চারদিন ধরে চলে নির্যাতন। ওই মহিলাকে নানাভাবে হেনস্থা করা হয়। বারংবার ভিডিয়ো কল করা হয় তাঁকে। সুপ্রিম কোর্ট, কর্নাটক পুলিশ, ED, RBI-ইত্যাদির নাম করে ভুয়ো নথি দেখিয়ে নানাভাবে হয়রানি করা হয়। ভয় দেখানো হয় মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর।
6/10
পরে ওই অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চিকিৎসককে নিজের পেনশন অ্যাকাউন্ট থেকে ৬.৬ লাখ টাকা ট্রান্সফার করতে বাধ্য করে প্রতারকরা। টাকা ট্রান্সফার করার পরেও মহিলাকে হেনস্থা করা হয়। এমনকি ওই মহিলার মৃত্যুর পরেও ডিজিটাল মেসেজ করা চালু রেখেছিল তারা।
7/10
হেনস্থা সইতে না পেরে ৮ তারিখ সকালে ওই মহিলা তীব্র বুকে ব্যথা অনুভব করেন ও ছেলেকে জানান। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই হৃদরোগজনিত কারণে মৃত্যু হয় তাঁর।
8/10
সমস্ত কল রেকর্ড ও অন্যান্য নথি খতিয়ে দেখে মায়ের ডিজিটাল অ্যারেস্টের ব্যাপারে পুলিশকে জানান তাঁর ছেলে। দায়ের করেন অভিযোগ। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করে।
9/10
আদতে ডিজিটাল অ্যারেস্ট বলে কিছু নেই। এটি একটি প্রতারণামূলক ফাঁদ মাত্র। পুলিশের তরফে বারংবার বলা হয়, ফাঁদে পা দেবেন না। তারপরেও ঘটে যায় নানা দুর্ঘটনা।
10/10
সাইবার অপরাধীরা সিবিআই, পুলিশ ও সরকারি সংস্থার কর্মকর্তা পরিচয়ে গ্রাহকদের ভিডিয়ো কল করে থাকে। এবং ভুয়ো মামলায় জড়িত থাকার কথা বলে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। ভিডিয়ো কলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে গ্রেফতার দেখায় প্রতারকরা। এবং মোটা অঙ্কের টাকা ট্রান্সফারের জন্য চাপ দিয়ে টাকা আদায় করে থাকে। সতর্ক থাকুন
Published at : 17 Sep 2025 10:45 PM (IST)