Ankylosing spondylitis: মহিলাদের পক্ষে কতটা বিপজ্জনক অ্যাঙ্কাইলজিং স্পন্ডিলাইটিস?
অ্যাঙ্কাইলজিং স্পন্ডিলাইটিস মহিলাদের পক্ষেই বেশি বিপজ্জনক বলে মত চিকিৎসকদের। তাঁদের মতে, একবার এই রোগে আক্রান্ত হলে মহিলাদের জীবনের গতি কার্যত থমকে যায়। অসুস্থতা তাঁদের কাবু করে ফেলে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appঅ্যাঙ্কাইলজিং স্পন্ডিলাইটিস এমন একটি বাত, যা মেরুদণ্ড, গাঁট, কোমর, কাঁধ, লিগামেন্ট ও টেন্ডনের উপর প্রভাব ফেলে।
চিকিৎসকরা আরও জানিয়েছেন, এই রোগের ফলে চোখ, ফুসফুস, মহাধমনী, হৃৎপিণ্ড, কিডনিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ভারতের মতো দেশে এখনও মহিলাদের স্বাস্থ্যের দিকে খুব একটা নজর দেওয়া হয় না। আর্থিক, সামাজিক, পারিবারিক সহ নান কারণে মহিলারা রোগ গোপন করেন বা গুরুত্ব দেন না। তার ফলে সমস্যা বেড়ে যায় বলে মত চিকিৎসকদের।
অ্যাঙ্কাইলজিং স্পন্ডিলাইটিস সাধারণত ১৭ থেকে ৪৫ বছর বয়সের মধ্যে হয়। তবে অনেক সময় এর চেয়ে কম বয়সেই এই রোগ ধরা পড়ে। এক্ষেত্রে পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই।
চিকিৎসকরা অবশ্য জানিয়েছেন, অ্যাঙ্কাইলজিং স্পন্ডিলাইটিসে পুরুষরাই প্রাথমিকভাবে আক্রান্ত হন বলে ভুল ধারণা প্রচলিত রয়েছে। সেই কারণে মহিলাদের ক্ষেত্রে দেরিতে রোগ ধরা পড়ে।
এখন অবশ্য উন্নত চিকিৎসাব্যবস্থার ফলে এই রোগ সারানো অনেকটাই সহজ হয়ে গিয়েছে। যত দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায় ততই ভাল। সেক্ষেত্রে রোগীরা দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার সুযোগ পান।
পিঠে ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথার মতো লক্ষণগুলি দেখা দিলেই মহিলাদের সতর্ক হওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। প্রথম পর্যায়েই চিকিৎসা শুরু করলে এই রোগ পেশি বা হাড়ের ক্ষতি করতে পারে না।
মহিলাদের সাধারণত লিগামেন্ট ও টেন্ডনে সমস্যা বেশি হয়। সেই কারণে অ্যাঙ্কাইলজিং স্পন্ডিলাইটিসে তাঁরা বেশি কাবু হয়ে পড়েন বলে মত চিকিৎসকদের।
মহিলাদের হাড় ও পেশির ক্ষয় যাতে না হয়, সেটা নিশ্চিত করাই চিকিৎসকদের লক্ষ্য থাকে। সেই অনুযায়ী চিকিৎসা করা হয় এবং ওষুধ দেওয়া হয়।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -