Ballygunge By Election: উপনির্বাচনেও সবুজ ঝড়, বাবুলের হাতে সুব্রতর ছেড়ে যাওয়া বালিগঞ্জ
পদ্ম ছেড়ে এসে উঠেছিলেন জোড়াফুল শিবিরে। বিপুল জনসমর্থন না পেলেও, বালিগঞ্জে তৃণমূলের আসন ধরে রাখলেন বাবুল সুপ্রিয়। ২০ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appরাজ্যের প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ছেড়ে যাওয়া আসন বালিগঞ্জ। সেখানে বাবুলকে প্রার্থী করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন তিনি জয়ী হওয়ার পরই সবুজ আবিরে ছেয়ে যায় গোটা এলাকা।
তৃণমূলের পতাকা, মমতা, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় এবং বাবুলের ছবি নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখেন তৃণমূল সমর্থকরা। চলে আবির খেলা।
জয় নিশ্চিত হওয়ার পর মিষ্টি বিতরণ করতে দেখা যায় বাবুলকে। এই জয়ের শ্রেয় মমতাকেই দিয়েছেন তিনি। সুব্রতর আসনে তাঁকে ভরসা করার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
জয়ে শামিল হতে এ দিন বালিগঞ্জে উপস্থিত ছিল বাবুলের পরিবারও। সাংসদ হোন বা বিধায়ক, বাবুল দক্ষ হাতে, দায়িত্বশীল ভাবে কাজ সামলাবেন বলে জানান তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
এ দিন গণনা শুরু হওয়ার পর সকাল থেকেই বালিগঞ্জে এগিয়ে ছিলেন বাবুল। দিনের শেষে ২০ হাজার ৫৬ ভোটে জয়ী হন তিনি। সাবেক দল বিজেপি-র উদ্দেশে তাঁর বার্তা 'ফলেন পরিচয়তে'।
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের পর তৃণমূলে যোগ দেন বাবুল। তবে বালিগঞ্জে তাঁকে প্রার্থী করা নিয়ে অসন্তোষ ছিল দলের কর্মী এবং সাধারণ মানুষের একাংশের মধ্যে।
তবে গেরুয়া শিবিরে থাকাকালীন রাজনীতির বিতর্কিত অধ্যায়কে অস্বীকার করেননি বাবুল। বরং তাঁর অভিযোগ, মন সায় না দিলেও, বিজেপি-র লাইন ধরেই এগোতে হয়েছিল তাঁকে।
তবে বালিগঞ্জ কেন্দ্রে বাবুলের পরিবর্তে অন্য কাউকে দাঁড় করালে জয়ের ব্যবধান অনেক বেশি হত বলে মত দলেরই একাংশের। কারণ ২০২১ সালে সেখানে ১ লক্ষের বেশি ভোটে জিতেছিলেন সুব্রত।
তবে এ দিন শেষ পর্যন্ত বাবুলকে কড়া টক্কর দিয়েছেন সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম। বিজেপি-কে ঠেলে তাঁর হাত ধরেই বালিগঞ্জে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে সিপিএম। তাঁর মতে, বিজেপি নয়, সিপিএমই পারে তৃণমূলের বিকল্প হতে।
কলকাতায় এই প্রথম সাফল্য পেলেন বাবুল। এককালের সতীর্থ, বিজেপি-র কেয়া ঘোষকে পরাজিত করেছেন তিনি।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -