Partha Chatterjee Arrested: বড় চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে, টাকার লোভ নেই, জানিয়েছিলেন পার্থ
রাজনীতির সঙ্গে পরিচয় কলেজ জীবনেই। কিন্তু তাকে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়া অনেক পরে। এ যাবৎ আক্ষরিক অর্থেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়াসঙ্গী ছিলেন তিনি। কিন্তু দুর্নীতি মামলায় নাম ওঠার পর নেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগই করতে পারছেন না বলে দাবি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। দীর্ঘ রাজনৈতিক কেরিয়ারে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি এর আগে হতে হয়নি তাঁকে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appরাজ্য রাজনীতির ভরকেন্দ্র কলকাতা শহরেই জন্ম পার্থর। পড়াশোনা নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে। এর পর আশুতোষ কলেজে অর্থনীতি পড়া শেষ করে এমবিএ।
কলেজ জীবনেই সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সান্নিধ্যে আসার সুযোগ পান। কার্যত দাদা-ভাইয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কিন্তু তার পরই দীর্ঘ বিচ্ছেদ।
সংসার চালাতে রাজনীতি নয়, মোটা বেতনের কর্পোরেট চাকরি বেছে নিয়েছিলেন পার্থ। চাকরি করতেন অ্যান্ড্রু ইউলে-র মতো বহুজাতিক সংস্থার উঁচু পদে। কিন্তু মমতার পাশে থাকতে রাজনীতিতে প্রবেশ।
রাজনীতিতে সুব্রতই পথ দেখিয়েছিলেন বলে বরাবর জানিয়েছেন পার্থ। মমতার পাশে থাকতে সুব্রতই তাকে অনুপ্রেরণা জোগান বলে জানিয়েছিলেন। তাই সর্বদাই বলতে শোনা যেত, টাকার জন্য বড় মাইনের চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে আসেননি তিনি।
চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে যোগদান একটু দেরিতেই। তবে গোড়া থেকেই সফল। ২০০১ সালে বেহালা পশ্চিম থেকে বিজয়ী হন। ২০০৬, ২০১১ সালে পুনরায় সেখানেই জয়ী হন। ২০০৬ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বাংলার বিধানসভায় বিরোধী দলনেতাও ছিলেন।
২০১৬ সালে ফের বেহালা পশ্চিম থেকে বিজয়ী হন পার্থ। ২০২১ সালেও জয়ের ধারা অব্যাহত ছিল। কার্যত তাঁর জন্যই তৃণমূলে মহাসচিব পদটির সৃষ্টি।
মমতা সরকারে এ যাবৎ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের দায়িত্বে দেখা গিয়েছে পার্থকে, যেমন, শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তি, শিক্ষা, উচ্চশিক্ষা, পরিষদীয়।
এর আগে আইকোর মামলায় নাম জড়িয়েছিল পার্থর। তদন্তে নেমে সিবিআই জানায়, আইকোরের অনুষ্ঠান মঞ্চে দেখা গিয়েছিল পার্থকে। তার জন্য তাঁকে ডেকেও পাঠায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
সম্প্রতি SSC নিয়োগ মামলার তদন্তে তাঁর নাম উঠে আসে। সেই আবহে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে পার্থকে ছেঁটে ফেলেন মমতা। নিজের মর্জি মতো চললে দল ঘ্যাচাং ফু হয়ে যেতে সময় লাগবে না বলে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যও করেন মমতা। এর পর এসএসসি মামলায় লাগাতার কোর্টের চক্কর কাটতে হয় পার্থকে।
শুক্রবার সকাল থেকে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। সাড়ে ২৭ ঘণ্টা পর শনিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আটক করা হয়েছে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। মমতার সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাঁকে পাননি বলে গ্রেফতার হয়ে জানান পার্থ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -