Bengal Recruitment Scam : পারিশ্রমিক নাকি শুধু ব্যবহারের জন্য গাড়ি ? এবিপি আনন্দ-র প্রশ্নর মুখে দুরকম তথ্য
অয়ন শীল এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ শ্বেতা চক্রবর্তীর যোগ খুঁজতে গিয়ে ইডির হাতে এসেছে একটি গাড়ির তথ্য়। যা শ্বেতাকে দিয়েছিলেন অয়ন। কিন্তু, কেন?
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appএই নিয়ে শ্বেতার মুখে শোনা গেছে কার্যত দুরকম কথা! কখনও তিনি দাবি করেছেন, ওই গাড়ি পারিশ্রমিক হিসেবে পাওয়া। কখনও আবার বলেছেন, গাড়িটি তাঁকে ব্য়বহার করতে দিয়েছিলেন অয়ন!
কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রের দাবি,হন্ডা সিটি গাড়ি কেনার জন্য শ্বেতাকে টাকা দিয়েছিলেন অয়ন শীল!যে গাড়ি কেনার নথি পাওয়া গেছে অয়নের সল্টলেকের অফিসে!
কিন্তু, এই গাড়ির প্রসঙ্গে অয়ন শীলের ঘনিষ্ঠ শ্বেতার মুখে শোনা গেছে কার্যত দুরকম কথা! প্রথমে তিনি দাবি করেন, এই গাড়ি তিনি পেয়েছিলেন পারিশ্রমিক হিসেবে!
যদিও, একটু পরেই তিনি আবার দাবি করেন, ওই গাড়ি অয়ন তাঁকে গাড়িটি ব্য়বহার করতে দিয়েছিলেন!
নিয়োগ দুর্নীতির মামলাতেই এর আগে এরকম গাড়ির প্রসঙ্গ উঠে এসেছিল অভিনেতা বনি সেনগুপ্তর ক্ষেত্রে। এই মামলায় ধৃত এবং বহিষকৃত যুব তৃণমূলের সম্পাদক কুন্তল ঘোষের সঙ্গে অভিনেতা বনি সেনগুপ্তর আর্থিক লেনদনের তথ্য় সামনে আসে বলে ইডি সূত্রে দাবি করা হয়
শ্বেতা চক্রবর্তীর মতো, বনি সেনগুপ্তও দাবি করেছিলেন, পারিশ্রমিক বাবদ তাঁর গাড়ি কেনার জন্য় শোরুমে টাকা দিয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ!
এবার কার্যত সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল অয়ন-ঘনিষ্ঠ শ্বেতা চক্রবর্তীর ক্ষেত্রে!
হুগলির বলাগড়ের ডুমুরদহ নিত্যানন্দপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে একসঙ্গে কাজ করতেন অয়ন শীল এবং শ্বেতা চক্রবর্তী। তখনই দু-জনের পরিচয়। অয়নের গাড়ি করেই শ্বেতা পঞ্চায়েতে আসতেন বলে দাবি করেছেন পঞ্চায়েতের উপপ্রধান।
২০১৮ সালে শ্বেতাকে সোমরা বাজার পঞ্চায়েতে বদলি করা হয়। সেখানে যোগ না দিয়ে, চাকরি ছেড়ে দেন শ্বেতা। তারপরও ডুমুরদহ পঞ্চায়েতে কাজ করেছেন অয়ন। ২০২০ সালে চাকরি ছাড়েন তিনি।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -