Rampurhat Incident : খুন ও তারপরই একের পর এক বাড়িতে আগুন-হত্যালীলা, ঠিক কী ঘটেছিল বকটুই গ্রামে
রামপুরহাটে খুন তৃণমূলের উপপ্রধান। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, বালি খাদান নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ চলছিল। তার জেরেই খুন হন তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appতৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুনের পর অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে বীরভূমের রামপুরহাট। তৃণমূলের উপপ্রধান খুনের বদলা নিতে,তাঁর অনুগামীরা খুনে অভিযুক্তদের বাড়ি-সহ বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।
যদিও, নিহত তৃণমূল নেতার স্ত্রীর গলায় আবার উল্টো দাবি। গত বছরের জানুয়ারি মাসে খুন হন ভাদু শেখের দাদা বাবর শেখ। সেই সময়, খুনের অভিযোগ ওঠে আঙুর, পলাশ ও সোনা শেখ-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে।
নিহত তৃণমূল নেতার এক আত্মীয়ের কথায়, কয়েক মাস আগে ভাদুর ভাইকে খুন করেছে। ভাদুকে মেরেছে, আশপাশের গ্রাম থেকে চার-পাঁচশো লোক এসে জ্বালিয়ে দিয়েছে। ভাদুর একাধিক ব্যবসা ছিল, সেগুলো দেখে হিংসে ছিল।
স্থানীয়দের একাংশের দাবি, বালি খাদান নিয়ে দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ চলছিল। তার জেরেই খুন হন তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপ প্রধান ভাদু শেখ । এরপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। স্থানীয় সূত্রে দাবি, রাত ১০টা নাগাদ, অভিযুক্তদের বাড়ি-সহ একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
সেই সময়, যেখানে তৃণমূলের উপপ্রধান খুন হয়েছিলেন, সেখানে পুলিশ উপস্থিত ছিল। অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে, রাত রাত এগারোটা নাগাদ গ্রামে আসে পুলিশ ও দমদম। তারপর বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রামপুরহাটের বকটুই গ্রামে বেছে বেছে কয়েকটি বাড়িতেই কি আগুন লাগানো হয়েছিল? আগুনে পোড়া বাড়িগুলির অবস্থান তেমন সম্ভাবনাই উস্কে দিচ্ছে। ভয়ঙ্কর হত্যালীলার পর থমথমে গোটা গ্রাম। খাঁ-খাঁ করছে বাড়ি।
শিশু, মহিলা-সহ ৮ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার পর একদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও খড়ের গাদা থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। এই ঘটনায় ধৃত ১১ জনকে আজ রামপুরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে।
ভাদু শেখ খুনের পরই শিশু-মহিলা-সহ ৮ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটে। দুটি ঘটনার মধ্যে সময়ের ব্যবধান ছিল মাত্র একঘণ্টা। ফলে তৃণমূল নেতা খুনে অভিযুক্তরাই নৃশংস হত্যালীলার সঙ্গে জড়িত কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ
রামপুরহাটের গণহত্যা মনে করিয়ে দিয়েছে, সুচপুর এবং ছোট আঙারিয়ার ঘটনা। দু’দশক আগে সেই সব ঘটনা ঘিরে উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। এখন রামপুরহাটের ঘটনা ঘিরেও তোলপাড় পড়ে গেছে রাজ্য রাজনীতিতে।
২০০১ সালের ৪ জানুয়ারি পশ্চিম মেদিনীপুরের ছোট আঙারিয়া গ্রামে তৃণমূলকর্মী বক্তার মণ্ডলের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে, গুলি করে, পাঁচ তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ ওঠে। রাজ্যে তখন ক্ষমতায় সিপিএম সরকার।
ছোট আঙারিয়ার আগে এই বীরভূমেই ঘটে গেছিল ভয়াবহ আরেক গণহত্যার ঘটনা। ২০০০ সালের ২৭ জুলাই নানুরের সুচপুরে ১১ জন তৃণমূল সমর্থক খেতমজুরকে খুনের অভিযোগ ওঠে সিপিএমের বিরুদ্ধে। ৮১ জন সিপিএম নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -