Tarapith: তারাপীঠে মহালক্ষ্মী রূপে পূজিত তারা মা, মহাভোগ-সিঁদুরখেলায় পালন আবির্ভাব তিথি

তারা মায়ের আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে, তারাপীঠে দিনভর বিশেষ পুজোর আয়োজন৷ রীতি মেনে আজ সকালে বিগ্রহকে মূল মন্দিরের বাইরে নিয়ে আসা হয়৷ সেখানেই চলে যাবতীয় উপাচার৷

ভক্তদের জন্য খোলা মায়ের মন্দির। সন্ধ্যারতির পর বিগ্রহকে আবার ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় মূল মন্দিরে। স্নান করিয়ে পরানো হয় নতুন সাজ। নতুন করে হয় অভিষেক। এদিন পূর্ণিমা পড়ে যাওয়ায় মহালক্ষ্মী রূপে পুজো করা হয় তারা মাকে।

শারদীয়ার শুক্ল চতুর্দশী! প্রথা মেনে তারাপীঠে উদযাপন হল তারা মায়ের আবির্ভাব তিথি।বীরভূমের রামপুরহাট শহরের কাছেই সিদ্ধপীঠ তারাপীঠ। সাধক বামদেবের সাধনাক্ষেত্র।

পাল রাজত্বের সময় স্বপ্নে তারা মায়ের নির্দেশ পেয়ে শুক্ল চতুর্দশীতে শ্মশান থেকে তাঁর মূর্তি এনে মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করেন জয় দত্ত সওদাগর। সেই উপলক্ষে প্রতি বছর এই তিথিতে পালিত হয় তারামায়ের আবির্ভাব তিথি।

সকাল থেকেই তারাপীঠে বিশেষ পুজোর আয়োজন৷ ভোররাতে ঘুম ভাঙিয়ে মূল মন্দির থেকে বের করে আনা হন মাকে। পশ্চিম দিকে মুখ করে বসানো হয় বিরামমঞ্চে।

সকালে মঙ্গলারতির পর দেওয়া হয় শীতল ভোগ। এরপর দুপুরে ফল ভোগ। এদিন দুপুরে কোনও অন্নভোগ রান্না হয় না৷ রীতি অনুযায়ী মায়ের আজ উপোস! দিনভর তাই ফল-মিষ্টিই খান মা। মহাভোগ তোলা থাকে রাতের জন্য!

সন্ধ্যারতির পর বিগ্রহকে আবার ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় মূল মন্দিরে। স্নান করিয়ে পরানো হয় নতুন সাজ। নতুন করে হয় অভিষেক।রাতে মাকে দেওয়া হয় অন্ন ভোগ। যাকে বলা হয় মহা ভোগ।

তারাপীঠের মা কখনও পুজিতা হন দূর্গা আবার কখনও অন্নপূর্ণা রূপে। এই দিনে মাকে কাছ থেকে দেখতে ছুটে আসেন দূরদূরান্তের ভক্তরা।

রাতে মায়ের কাছে অন্নভোগ নিবেদন করার পরই উপবাস ভাঙেন সেবায়েতরা। (তথ্য ও ছবি- আবীর দত্ত)