Bowbazar: কারও চোখে জল, কারও মুখে উৎকণ্ঠার ছাপ! বাস্তু হারানোর বেদনার ছবি ফিরল বউবাজারের
কারও চোখে জল, কারও মুখে উৎকণ্ঠার ছাপ। আড়াই বছর পর ফের বাস্তু হারানোর বেদনার ছবি ফিরল বউবাজারের দুর্গাপিটুরি লেনে। বাক্স-প্যাঁটরা হাতে প্রাণভয়ে বাড়ি ছাড়লেন বাসিন্দারা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appপরপর বাড়ির দেওয়ালে চিড়। রাতের অন্ধকারে বাড়ি ছেড়ে, রাস্তায় দাঁড়াতে হয়েছে বউবাজারের দুর্গা পিটুরি লেনের বহু বাসিন্দাকে।
কবে আবার বাড়িতে ফিরতে পারবেন, সেই উত্তর নেই কারও কাছে। নিরাপদ আশ্রয় হারিয়ে এখন সঙ্গী শুধুই অসহায়তা আর অনিশ্চয়তা।
বউবাজারের দুর্গা পিটুরি লেনে বিপত্তির আঁচ পড়েছে স্বর্ণশিল্পেও! ২০১৯-এর পর আরও একবার! মেট্রোর কাজ চলাকালীন বিভিন্ন বাড়িতে ফাটল দেখা যেতেই দুর্গা পিটুরি লেনের ছোট সোনার দোকান ও কারখানাগুলিতে তালা ঝুলেছে। লকডাউনের ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই ফের ক্ষত! কীভাবে চলবে জীবিকা? দুশ্চিন্তায় স্বর্ণশিল্পীরা।
বাবা, ঠাকুর্দা, তার ঠাকুর্দার আমলের সব বাড়ির সঙ্গে এই এলাকার মানুষগুলোর নাড়ির যোগ। কখনও এই বাড়ি ছেড়ে কোথাও যাওয়ার কথা ভাবেনইনি! ফলে অনেকেরই বিকল্প কোনও ঠিকানা নেই।
বাড়িতে চিড় ধরলেও, সাধের চার দেওয়ালের মায়া আঁকড়ে ছিল তাঁর গোটা পরিবার। কিন্তু, বৃহস্পতিবার সকালে তাঁদের বাড়ি খালি করে দিতে বলা হয়। গোটা পরিবারকে গাড়িতে চাপিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয় হোটেলে।
আড়াই বছর পর, বউবাজারে আবার ফিরল বিপর্যয়। মেট্রোর কাজের জেরে, চিড় ধরল একের এক বাড়ির দেওয়াল এবং মেঝেতে। ঠিক যেমনটা হয়েছিল ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে।
বউবাজারে ফিরল ফাটল-বিপর্যয়। ফের রাতের অন্ধকারে বাড়িছাড়া হলেন বহু মানুষ। চোখের জলে মিশল অসহায়তা আর আতঙ্ক। এই ছবিগুলোই ফিরিয়ে আনল। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরের স্মৃতি।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -