Buddhadeb Bhattacharjee: মাথার উপর রবীন্দ্রনাথ, একঘর শুধু বই- বুদ্ধদেবের শেষযাপনেও সঙ্গী কবিগুরু
অনাড়ম্বর, বাহুল্যবর্জিত, সাদাকালো জীবন-যাপনে ইতি। পাম অ্যাভিনিউয়ের ২ কামরার ছোট্ট ফ্ল্যাটকে বিদায় জানিয়ে চলে গেলেন শেষবারের মতো।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appছিমছাম জীবনযাপনই পছন্দ ছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। চার দশক ধরে এই ঘরেই থাকতেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। দু'বারের বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তিনি। কিন্তু ঘরে সেই আড়ম্বর নেই। বরং রয়েছে বাঙালি ছোঁয়া।
আটপৌড়ে ঘরেই থাকতেন, অসুস্থ হওয়ার পর থেকেই এই বিছানাতেই যাপন। সঙ্গী অক্সিজেন মেশিন, আর ওষুদপত্র।
বিদায় জানালেন পাম অ্যাভিনিউয়ের দু-কামরার ফ্ল্যাটটাকে! বিদায় জানালেন বাংলাকে। বাম-ছাত্র যুবদের হার্টথ্রব। বাম-দুর্গের শেষ সেনাপতি।
গান বলতে শুনতেন শুধু রবীন্দ্রসঙ্গীতই। আর কোনও গান শোনায় তাঁর আপত্তি ছিল প্রবল। আর শুনতেন কেবল খবর।
বইঅন্ত প্রাণ ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ঘরের সব দেওয়ালে শুধু বই আর বই। অন্তরের কিছু যদি থাকে তা ছিল বই।
গীতবিতান থেকে বিষ্ণু দে-র কবিতা, ইংরেজি সিনেমার বই থেকে রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইতিহাস বই, বুদ্ধদেবের বুকশেলফের সংগ্রহে রয়েছে বেশ কিছু দুষ্প্রাপ্য বই-ও।
বইয়ের আলমারিতে রয়েছে অন্নদাশঙ্কর রায়, শামসুর রহমানও। সাহিত্য চর্চার প্রতি বুদ্ধবাবুর অনুরাগের ছোঁয়া রয়েছে ঘরটি জুড়েই।
যে ঘর ছিল তাঁর প্রাণের আরাম। সে ঘরে দেওয়ালে ছিল ব্যক্তিগত পছন্দও। কার্ল মার্ক্স, পিট সিগার, লেনিনের ছবি ও মূর্তি।
স্মৃতিপটের ফ্রেমে ঘরে রাখা কাকা সুকান্ত ভট্টাচার্যের ছবি। পাশে চে গেভারা এবং চার্লি চ্যাপলিনও বিরাজমান।
তিনি নেই, তবু আছেন। ক্যালেন্ডারে ২৩শে শ্রাবণ জুড়ল পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর চলে যাওয়ার দিন হিসেবে। নিজের লেখা একাধিক বইও থেকে গেল তাঁর আলমারিটিতে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -