Anubrata Mondal: গ্রেফতার অনুব্রত, আজই আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হতে পারে
গরুপাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর তৃণমূলের আরও এক হেভিওয়েট নেতা কেন্দ্রীয় এজেন্সির জালে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appগ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে সিবিআই, বাড়ি থেকে বেরিয়ে কী বললেন অনুব্রত? চড়াম-চড়াম, গুড়-বাতাসা হোক বা খেলা হবে, রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় ফেলা একাধিক শব্দবন্ধ যার মুখ থেকে বেরিয়েছে, তিনি অবশ্য মুখ খোলেননি।
এ দিন পৌঁছে যায় ১০-১২টি গাড়ির কনভয়। অনুব্রতর বাড়ির চারপাশ ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাড়িতে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন সিবিআই আধিকারিকরা। বাড়ির সকলের মোবাইল ফোন নিয়ে নেওয়া হয়।
গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে সিবিআই হানার খবর পেয়ে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বোলপুরের বাড়ির সামনে ভিড় জমান এলাকাবাসীরা। বলেন, দাদার জন্য খারাপ লাগছে। এরপরেই সময় যত গড়ায় জল্পনা বাড়তে থাকে তবে কি আজই গ্রেফতার হতে চলেছেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ শাসক-নেতা?
সিবিআই সূত্রে খবর, এর আগে গতকাল বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিত্সক চন্দ্রনাথ অধিকারীর সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। আজ ওই চিকিত্সকের বয়ান রেকর্ড করা হতে পারে। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত প্রভাব খাটিয়ে চিকিত্সককে দিয়ে প্রেসক্রিপশন লেখানোর চেষ্টা করেছিলেন কিনা, তা জানতে চাওয়া হয়।
চড়াম-চড়াম, গুড়-বাতাসা হোক বা খেলা হবে, রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় ফেলা একাধিক শব্দবন্ধ যার মুখ থেকে বেরিয়েছে, তিনি অবশ্য মুখ খোলেননি। এদিন বৃষ্টির মধ্যে সিবিআই আধিকারিকদের কাঁধে ভর দিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সোজা এসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গাড়িতে বসে যান অনুব্রত মণ্ডল।
গরুপাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) ১০ বার অনুব্রতকে তলব করে সিবিআই। মাত্র একবার হাজিরা দেন তৃণমূল জেলা সভাপতি। অসুস্থতার কথা বলে গতকালও হাজিরা এড়ান অনুব্রত। সিবিআই সূত্রে বলা হয়েছে, গতকাল বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিত্সক চন্দ্রনাথ অধিকারীর সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা।
এদিকে এলাকায় এমন কেন্দ্রীয় বাহিনীর আচমকা হানা এবং সিবিআই আধিকারিকদের চলে আসায় রীতিমতো উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। অনেকেই ভিড় জমিয়েছেন কী হয়েছে তা দেখতে। অনেকে ছবি তুলছেন। এক বাসিন্দা জানান, বাজার করতে বেড়িয়েছিলাম হঠাৎ দেখলাম ভিড়। সংবাদমাধ্যমও এসেছে তাই দাঁড়িয়ে গেলাম।
গড়েই গ্রেফতার কেষ্ট। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) পর এবার অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দার জালে আরও এক হেভিওয়েট। একের পর এক ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে তৃণমূল (TMC)। জেলা সভাপতি থেকে জাতীয় কর্ম সমিতির সদস্য। তৃণমূলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন অনুব্রত। এবার কী করবে তৃণমূল (TMC)? পাশে থাকবে, না দূরত্ব তৈরি করবে? তা এখনও স্পষ্ট নয়।
প্রসঙ্গত ইতিমধ্যে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossain) গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তিনি রয়েছেন হেফাজতে। তার সঙ্গে অনুব্রত-র যোগাযোগ থেকে শুরু করে সম্প্রতি দাখিল করা চার্জশিট, সবেতেই অনুব্রত মণ্ডলের নাম রেখেছেন তদন্তকারী অফিসাররা।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -