Coochbehar Kalbaishakhi: ধূলিসাৎ ৫ হাজার বাড়ি, ভিড় বাড়ছে ত্রাণ শিবিরে, কালবৈশাখীতে লন্ডভন্ড কোচবিহার
ঝড়ের তাণ্ডব থেমে গিয়েছে আগেই। কিন্তু কালবৈশাখীর ছোঁয়ায় লন্ডভন্ড কোচবিহার। ঘরবাড়ি হারিয়ে কয়েক হাজার মানুষ রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছেন সেখানে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appপ্রশাসন সূত্রে খবর, ঝড়ের দাপটে কমপক্ষে ৫ হাজার বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ঝড়ে উড়ে গেছে টিনের চাল। ভেঙে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। প্রাণ হাতে করে পালাতে গিয়ে কিছুই রক্ষা করতে পারেননি স্থানীয়রা।
কালবৈশাখীর দাপটে ঘুঘুমারি এবং মোয়ামারিতে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয় ঝড়ে উড়ে আসা টিনের আঘাতে। আহতের সংখ্যা কমপক্ষে ৫০।
কালবৈশাখীর তাণ্ডবের ৪৮ ঘণ্টা পরও ঝড়ের চিহ্ন পড়ে রয়েছে ইতিউতি। সারি সারি বাড়িঘর ভেঙে পড়ে রয়েছে সেখানে। খাট, বিছানা, বইপত্র, গ্যাস সিলিন্ডার উঁকি দিচ্ছে ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে।
ঝড়ের দাপটে আগেই প্রাণ হাতে নিয়ে ঘর ছেড়েছিলেন বাসিন্দারা। কিছু অবশিষ্ট রয়েছে কিনা দেখতে সেই ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই ছুটে যাচ্ছেন অনেকে।
ঝড়ের দাপটে জায়গায় জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গিয়েছে। তার জেরে এখনও বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকার।
প্রশাসনের তরফে উদ্ধারকার্য মোটামুটি সম্পূর্ণ। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কত সময় লাগবে, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে।
ঘরছাড়াদের মাথাগোঁজার জন্য বিভিন্ন জায়গায় অস্থআয়ী শিবির গড়া হয়েছে। ইতিউতি খোলা হয়েছে ত্রাণ শিবিরও। তাতেই দু'বেলার অন্ন জুটছে স্থানীয়দের।
প্রশাসনের তরফে ত্রিপল বিলি করা হচ্ছে। অস্থায়ী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন কাতারে কাতারে মানুষ।
স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, শুকনো খাবারের জোগানের উপরই আপাতত বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। ত্রাণশিবিরেই রান্নার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু এর বাইরে এখনও পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের কোনও ঘোষণা হয়নি। তাই উদ্বেগের ছায়া সর্বস্বান্ত মানুষগুলির মুখে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -