Ramkrishna Statue at Mahesh Jagannath Temple : মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরে রামকৃষ্ণদেবের শ্বেতপাথরের মূর্তি স্থাপন

সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি- ৬২৫ বছরের সুদীর্ঘ ইতিহাস মাহেশের রথের। জগন্নাথ দেবে মন্দিরের ঐতিহ্যের পরম্পরায় যুক্ত হল নতুন এক পালক।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In App
মন্দির প্রাঙ্গনের ভিতরেই স্থাপিত হল রামকৃষ্ণদেবের শ্বেতপাথরের মূর্তি। রামকৃষ্ণদেবের সঙ্গেই মা সারদা ও স্বামী বিবেকানন্দর-র মূর্তিও স্থাপিত হল।

মূর্তি প্রতিষ্টা উপলক্ষে মন্দির প্রাঙ্গনে হাজির হয়েছিলেন অগণিত ভক্ত। প্রায় হাজার দুয়েক ভক্তকে করা হয় ভোগ বিতরণ।
মাহেশের সেবায়েতরা জানাচ্ছেন, ১৮৮২ সালে প্রথমবার রামকৃষ্ণদেব পা রেখেছিলেন সেখানে। মোট বার তিনেক মাহেশে গিয়েছিলেন তিনি।
১৮৮৩ সালে মা সারদাও মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরে গিয়েছিলেন বলে জানান সেবায়েতরা। সেই স্মৃতি আগলে রাখতেই তাদের মূর্তি বসানোর পরিকল্পনা হয়।
হুগলিতে জিটি রোডের ধারে ৬০০ বছরের বেশি ইতিহাসের সাক্ষী বহন করে আজও উজ্জ্বল মাহেশের মন্দির। জনশ্রুতি আছে, ধ্রুবানন্দ ব্রহ্মচারী নামে এক সাধুকে একবার পুরীর জগন্নাথকে ভোগ নিবেদন করতে দেওয়া হয়নি। মনমরা হয়ে ওই সাধু আমৃত্যু অনশনে বসেন। কয়েকদিন পরে ধ্রুবানন্দ ব্রহ্মচারীর স্বপ্নে আসেন প্রভু জগন্নাথ। তাঁকে অনশন তুলে নিতে বলেন।
তিনি নিজেও তাঁর ভক্তের কাছ থেকে ভোগ খেতে চান বলে জানান জগন্নাথ। ধ্রুবানন্দকে মাহেশে যেতে বলেন তিনি। আশ্বাস দেন, নদী দিয়ে নিমকাঠ পাঠানোর । যা দিয়ে তৈরি হবে বিগ্রহ।
মাহেশে ফিরে আসেন সাধু। গঙ্গার তীরে শুরু করেন সাধনা। এক ঝড়বৃষ্টির রাতে একটি নিমকাঠ পান তিনি। তা দিয়েই বলরাম, জগন্নাথ ও শুভদ্রার মূর্তি তৈরি করেন। ছোট ওই শহরে এর পর একটি মন্দির স্থাপন করেন। আজ ওই মন্দিরের নতুন পরিকাঠামো গড়ে উঠেছে। কিন্তু রথযাত্রা চলছে সেই ১৩৯৬ সাল থেকেই। ১৮৮৫ সাল থেকে ব্যবহার করা হচ্ছে এখনকার রথটি।
মাহেশের মন্দির এবং বিগ্রহ তৈরি করেছিলেন ধ্রুবানন্দ ব্রহ্মচারী। কিন্তু, রথযাত্রা উৎসব শুরু করেন শ্রীচৈতন্যর শিষ্য কমলাকর পিপলাই । যিনি পরে মন্দিরের প্রধান পুরোহিত হন। পিপলাই পরিবারের উত্তরসূরীরাই রয়েছেন মন্দিরের তত্ত্বাবধানে।
মাহেশের রথযাত্রা চলছে সেই ১৩৯৬ সাল থেকেই। ১৮৮৫ সাল থেকে ব্যবহার করা হচ্ছে এখনকার রথটি। ১৫৫ বছর আগে শ্যামবাজারের বসু পরিবারের সদস্য হুগলির দেওয়ান কৃষ্ণচন্দ্র বসু কুড়ি হাজার টাকা ব্যয়ে ৫০ ফুট উঁচু ১২৫ টনের রথটি তৈরি করান।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -