Kali Puja 2021: কালীপুজোয় হয় বিশেষ পূজার্চনা, সতীর একান্নপীঠের অন্যতম তমলুকের বর্গভীমা
সতীর একান্নপীঠের অন্যতম পীঠ তমলুকের দেবী বর্গভীমা। পুরাণ মতে এখানে দেবীর বাম পায়ের গুম্ফ অর্থাৎ গোড়ালি পড়েছিল। সব তথ্য ও ছবি সৌজন্য - বিটন চক্রবর্তী
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appতমলুকের এই বর্গভীমা মন্দির প্রতিষ্ঠার পেছনে রয়েছে নানান অলৌকিক কাহিনি। কালিপুজোর দিন দেবী বর্গভীমার বিশেষ পূজার্চনার ব্যবস্থা করা হয়।
ওই দিন মাকে রাজবেশ পরানো হয়। তন্ত্রমতে এখানে পুজো হয়। ভোগে শোলমাছ ছাড়াও পাঁচ রকমের মাছ, পাঁচ রকম ভাজা, পাঁচরকমের তরকারি দেওয়া হয়। এছাড়া, ভাত, পোলাও, ফ্রায়েডরাইস, খিচুড়ি, নানান পদের মিষ্টি প্রভৃতি থাকে।
অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার শক্তির একমাত্র দেবী ছিল এই বর্গভীমা। অর্থাৎ দেবী বর্গভীমা ছাড়া আর কোনও শক্তির দেবতার পুজো হতো না।
পরবর্তীকালে পুরোহিতদের বিধান অনুযায়ী, আগে দেবী বর্গভীমার পুজো দিয়ে তবেই অন্য পুজো শুরু করা যাবে।
জেলাজুড়ে আজ সে প্রথা তেমনভাবে না থাকলেও, আজও তমলুক শহরের বারোয়াড়ি দুর্গাপুজা বা কালী পুজোর আগে দেবী বর্গভীমার পুজো দেন তাঁরা।
এমনকি কালীপুজোর দিন সন্ধেবেলায় রীতিমতো শোভাযাত্রা করে তমলুকের সমস্ত বারোয়াড়ি পুজো উদ্যোক্তারা দেবী বর্গভীমার পুজো দিয়ে তারপর তাঁরা পুজো শুরু করেন।
শুধুমাত্র কালীপুজো কিংবা দুর্গাপুজোয় নয়, দেবী বর্গভীমা সারা বছর ধরে পূজিত হয়ে আসছেন। এখনো বহু দূর-দূরান্ত ভক্তরা ছুটে আসেন মায়ের টানে।
করোনাকালে কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে, মন্দিরে প্রবেশের ক্ষেত্রে। গর্ভগৃহে গিয়ে আগে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার নিয়ম থাকলেও করোনা আবহে এখন তা বন্ধ।
তবে এখনও ভক্তরা সকাল সন্ধে দেবী বর্গভীমাকে দর্শন করতে পারবেন দূর থেকে। পুজো দেওয়া যাচ্ছে। দূরত্ববিধি মেনে কুপন কেটে ভোগ খাওয়ার বন্দোবস্ত করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -