Bharat Jodo Nyay Yatra: কখনও বাসে, কখনও জিপে! বাংলার কাছে রাস্তা দেখতে চাইলেন রাহুল
দেশকে রাস্তা দেখাক বাঙালি, নইলে দেশ ক্ষমা করবে না, বঙ্গে জোট টানাপোড়েনের মধ্যেই শিলিগুড়িতে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা রাহুল গাঁধীর। রবিবার শিলিগুড়িতে ন্য়ায় যাত্রায় সামিল হয় বামেরাও। রাহুলকে স্বাগত জানান হামরো পার্টির অজয় এডওয়ার্ড। আজ চোপড়ায় রয়েছে কংগ্রেসের কর্মসূচি। তারপরই বিহারে ঢুকবে ন্য়ায় যাত্রা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appদু’দিনের বিরতির পর, রবিবার বঙ্গে ফের ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন রাহুল গাঁধী। আর আসন সমঝোতা নিয়ে তৃণমূল ও কংগ্রেস মধ্যে টানাপড়েনের মধ্যেই, বাংলাকে পথ দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন রাহুল। তিনি বলেছেন, 'বাংলায় যে ভালবাসা পেয়েছি, তা আর কোথাও পাইনি। আপনি বাঙালি, দেশকে রাস্তা দেখানো আপনার কর্তব্য়।'
এদিন কখনও হুড খোলা গাড়িতে কখনও বাসে চেপে জনসংযোগ সারতে দেখা গিয়েছে রাহুল গাঁধীকে। রবিবার সকালে, জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর মোড় থেকে শুরু হয় রাহুলের যাত্রা, হুড খোলা গাড়িতে চেপে জনসংযোগ করেছেন তিনি।
গাড়িতে বেশ কিছুটা পথ রাহুলের সঙ্গী ছিলেন অধীর চৌধুরী, সামিল হয়েছিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশও। তাঁকে হাঁটতে দেখা যায।
সেদিন রাহুল গাঁধী বলেন, 'বাংলা একটা বিশেষ জায়গা। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যে আদর্শগত লড়াই, তা শুরু হয়েছিল বাংলা থেকেই। আপনি বাঙালি, দেশকে রাস্তা দেখানো আপনার কর্তব্য়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর করেছিলেন, সুভাষচন্দ্র বোস করেছিলেন, বিবেকানন্দ করেছিলেন। আপনাদের মধ্য়ে সেই ক্ষমতা আছে। আপনারা যদি রাস্তা দেখানোর কাজ না করেন, দেশ আপনাকে ক্ষমা করবে না। এই আগুন বাংলার প্রত্য়েক ব্য়ক্তির মধ্য়ে আছে।'
রাহুলের এই বক্তব্যের সঙ্গে অবশ্য কিছুটা হলেও মতের মিল রেখেছে তৃণমূল। সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, 'একথা তো সত্য়ি বাংলা দেশকে পথ দেখায়। বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী সবাইকে একজায়গায় এনে বিজেপি বিরোধী জোটের ডাক দেন। INDIA নাম দেন। তাঁরা আঞ্চলিক দলকে গুরুত্ব দেয়নি। বিজেপির তল্পিবাহকতা করেছেন। মমতার বিরুদ্ধে বারংবার বিষোদগার করেছে। তখন সেটাকে তিনি প্রশ্রয় দিয়েছেন। মমতা যখন বঞ্চনা নিয়ে লড়ছে, রাহুল চুপ থেকেছেন।'
রবিবার জলপাইগুড়ির PWD মোড় থেকে কদমতলা চকের দিকে এগোতে থাকে রাহুলের ন্য়ায় যাত্রা। বিভিন্ন সময় হুড খোলা গাড়িতে রাহুলের সঙ্গী হয় শিশুরা। কখনও ফুল দিয়ে, কখনও ঢাক-ঢোলে বাজিয়ে স্বাগত জানানো হয় কংগ্রেস সাংসদকে। নেতাকে উপহার দেওয়া হয় রসগোল্লা।
সোমবারও শুরু হয়েছে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা। রাহুলকে দেখতে ঢল সাধারণ বাসিন্দাদের। রাস্তায় থিকথিক করছে কংগ্রেস কর্মীদের ভিড়। বিহারে ঢোকার আগে সে রাজ্য়ের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেবেন অধীর চৌধুরী। বিহারে একটি সভা হবে।
লোকসভা ভোটের আগে, ভারত জোড়ো যাত্রার দ্বিতীয় অধ্য়ায়, ভারত জোড়ো ন্য়ায় যাত্রা কর্মসূচি শুরু করেছে কংগ্রেস। মণিপুর থেকে শুরু হওয়া সেই ন্য়ায়যাত্রা, নাগাল্য়ান্ড, অসম, মেঘালয় ঘুরে এসে পৌঁছেছে পশ্চিমবঙ্গে। এই ন্য়ায় যাত্রায় আগাগোড়া রাহুলের নিশানায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।
রবিবার, শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোডে ভারত জোড়ো ন্য়ায় যাত্রার সঙ্গে জুড়ে যায় বামেরা। মিছিলে অংশ নেন সিপিএম, সিপিআই সমর্থকরা। রাহুলকে স্বাগত জানান হামরো পার্টির সভাপতি, অজয় এডওয়ার্ড। রবিবার রাতে উত্তর দিনাজপুরের সোনাপুরে, মহানন্দা ব্রিজের কাছে শিবিরে রাতে ছিলেন রাহুল। সোমবার চোপড়া থেকে শুরু হয়েছে কংগ্রেসের কর্মসূচি। এদিনই বাংলা থেকে বিহারে প্রবেশ করবে ন্য়ায়যাত্রা।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -