TMC On Delhi:পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির পর আটক তৃণমূল মন্ত্রী-সাংসদরা, কৃষি ভবনে তুলকালাম
ধর্নায় গিয়ে দিল্লি পুলিশের হাতে আটক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল সাংসদরা। প্রতিবাদে এ রাজ্যের জেলায় জেলায় বিক্ষোভ।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appবাংলার প্রাপ্য আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগে তৃণমূলের দিল্লি অভিযান ঘিরে গত কাল, সোমবার রাজঘাটেও একপ্রস্ত অশান্তি বেঁধেছে। কিন্তু তাতে যে তৃণমূল দমবে না, সে কথা মঙ্গলবার যন্তরমন্তরের ধর্না মঞ্চ থেকেই স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সন্ধের দিকে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। সূত্রের খবর, সন্ধে সাড়ে ছটা নাগাদ বৈঠকের কথা হয়েছিল। কিন্তু সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও বৈঠক হয়নি।
তৃণমূল প্রতিনিধিদলের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, দেখা না করে তাঁরা যাবেন না। সঙ্গে শোনা যায়, কৃষিভবনের মধ্যে অপেক্ষার সময় 'মোদি, শাহ হায় হায়' স্লোগান।
এদিকে পুলিশের তরফে ৯টা পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল বলে খবর। তার মধ্যে তৃণমূল সাংসদরা কৃষি ভবন ছেড়ে না বেরোনোয় পুলিশবাহিনী ঢুকতে শুরু করে।
শুরু হয় তুলকালাম। পুলিশের সঙ্গে জোড়াফুল শিবিরের মন্ত্রী-বিধায়কদের ধস্তাধস্তি হয়। চ্যাংদোলা করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে।
একে একে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় দোলা সেন, বীরবাহা হাঁসদাকে। পুলিশ ভ্যানে তোলা হয় প্রত্যেককে।
ধস্তাধস্তির মাঝে অনেক ক্ষণ বসেছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। শেষে তাঁকেও তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এভাবে দলের মন্ত্রী-সাংসদদের কৃষিভবন থেকে বের করে বাসে তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে কৃষি ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মীরা।
পরে খবর আসে, তৃণমূলের ওই প্রতিনিধিদলকে আটক করা হয়েছে। বাসে বসে থাকা অবস্থাতেই কেন্দ্র ও বিজেপি সরকারকে ধিক্কার জানাতে শোনা যায় তাঁদের।
দলীয় কর্মীদের প্রশ্ন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে এ কী রকম আচরণ? পরিস্থিতি সামলাতে তৃণমূল নেতামন্ত্রীদের কৃষি ভবনের পিছনের গেট দিয়ে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। সামনের গেটে মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -