Election Results 2024
(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Snake Bite : কার্বলিক অ্যাসিডে সাপ সরে বা মরে ?
বাংলার বিভিন্ন জায়গায় এখনও জ্বলন্ত সমস্যা সাপের কামড়ে প্রাণহানি। বিষধর সাপ কামড়েছে বুঝতে পারলে সময় নষ্ট না করে সোজা রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পরামর্শই দেন চিকিৎসকরা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appদৌড়ঝাঁপ করলে দ্রুত বিষয় ছড়িয়ে পড়তে পারে, তাই চুপ করে এক জায়গায় বসে দ্রুত হাসপাতালে আসার বাঞ্চনীয় বলেই জানান তাঁরা। পাশাপাশি বেশ কিছু বিষয়ে করতে নিষেধও করেন তারা। যার মধ্যে প্রথম ও অন্যতম হচ্ছে, কামড়ের পর কোনওরকম বাঁধন না দেওয়া।
কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র মেডিক্যাল অফিসার ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সর্পদংশন বিভাগের পরামর্শদাতা চিকিৎসক দয়ালবন্ধু মজুমদার জানিয়েছেন, 'বাঁধন দিয়ে বিষ আটকানো যায় না। বরং খুব কষে বাঁধন (Tie Up) দিলে হাত বা পা পচে যেতে পারে। তাই সাপের কামড়ের পর বাঁধন দেবেন না, তাতে কোনও লাভ হয় না।'
অনেকে মনে করেন ঘরে কার্বলিক অ্যাসিড (Carbolic Acid) রাখলে সেক্ষেত্রে দূরে থাকবে সাপ। বিষয়টি সম্পূর্ণ সত্য নয় বলেই জানাচ্ছেন বাংলার সাপের ডাক্তার।
দয়াবন্ধু মজুমদার জানাচ্ছেন, 'খাবারের খোঁজেই সাপ ঘরে ঢুকে আসে। তাই ইঁদুর-ব্যাঙ ঘরে আসছে কি না, সেই দিকটা নজর রাখতে হবে। আর কার্বলিক অ্যাসিড ঘরে রাখা মানেই সাপ আসবে না এমনটাও নয়।
কার্বলিক অ্যাসিড ছড়ানো হলে সাপের গা পুড়ে যেতে পারে বলে তা খানিকক্ষণ দূরে থাকতে পারে, কিন্তু সেই অ্য়াসিড উবে গেলেই ফের সাপ এসে ঢুকবে। বলেই জানাচ্ছেন দয়ালবন্ধু মজুমদার।
প্রসঙ্গত, কেউটে, গোখরো, চন্দ্রবোড়া ও কালাচ (কালাচিতি) এই চার ধরনের বিষধর সাপ পাওয়া যায় বাংলায়। প্রথম দুই ধরনের সাপ ফণা-যুক্ত। কেউটে (Cobra) ও গোখরো এই দুই ধরনের সাপের কামড় মাত্রই শুরু হয়ে যায় ভয়ঙ্কর জ্বালা-যন্ত্রণা।
ঘুমের মধ্যে কাউকে কামড়ালে বা নেশাগ্রস্থ কাউকে কামড়ালে ঘুম বা নেশা ছুটে যেতে পারে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসক দয়ালবন্ধু মজুমদার। আর ফণা-হীন দুই ধরণের বিষধর সাপের মধ্যে চন্দ্রবোড়ার দাঁত খুবই ধারাল, সেক্ষেত্রেও দাগ বা খানিক পর থেকে জ্বালা-পোড়া শুরু হতে পারে।
জায়গাটা আস্তে আস্তে ফুলতে শুরু করে। কিন্তু কালাচ বা কালা-চিতি সাপের ক্ষেত্রে তেমনটা হয় না। 'মশার মতো সুক্ষ্ম এমন কামড় হয় যে দাগই পাওয়া যায় না কালাচের কামড়ে', বলেই জানালেন বাংলার সাপ ডাক্তার।
কোনও কিছু বোঝা না গেলেও পরের দিকে শুরু হয় নানা সমস্যা। যেমন গাঁটে গাঁটে ব্যথা বা পেটে ব্যথা। ভারতে সব রকমের সাপের কামড়ের জন্যই একটি মাত্র অ্যান্টিভেনাম ব্যবহৃত হয়। যার নাম পলিভ্যালেন্ট অ্যান্টিভেনাম (Polyvalent Antivenam)।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -