Mamata Banerjee: নিয়োগ বিতর্ক থেকে হেভিওয়েটদের গ্রেফতারি প্রসঙ্গ, মেয়ো রোডের সভায় আর কী বললেন তৃণমূল নেত্রী?

আজ মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ২১ জুলাইয়ের পর সবথেকে বড় এই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা পরিস্থিতির জন্য ২ বছর পর টিএমসিপি-র প্রকাশ্য সমাবেশ। এবার ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের পর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদলেছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডল জেলে থাকায় দুর্নীতি-বিদ্ধ তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা থেকে একাধিক অভিযোগ তোলে তৃণমূল। আজ ফিরহাদ, সায়নী থেকে মমতা, অভিষেক, সকলের বক্তব্যের নিশানাতেই ছিল কেন্দ্র।

নিয়োগ-দুর্নীতি থেকে গরু এবং কয়লা পাচার মামলার তদন্ত করছে সিবিআই, ইডি। গ্রেফতার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল।

এই প্রেক্ষাপটে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে, এজেন্সি নিয়ে হুঁশিয়ারির সুর শোনা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। এনিয়ে পাল্টা সরব হয়েছে বিজেপি-ও।

সোমবার একদিকে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন সপুত্র অমিত শাহকে চড়া সুরে নিশানা করেছেন, তখন একই মঞ্চ থেকে সুর চড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, মিডিয়া থেকে শুরু করে, জুডিশিয়ারি থেকে শুরু করে, পলিটিক্যাল পার্টিগুলোকে, ভয় দেখিয়ে, চমকে, আর পেগাসাস করে, সবাইকে পরাধীন করে দেওয়া হয়েছে।

নিয়োগ-দুর্নীতির মামলা, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর গ্রেফতারিকে হাতিয়ার করে, বিজেপি যখন প্রতিদিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে, তখন সোমবার TMCP’র প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে, তা নিয়েও পাল্টা সরব হয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। নাম না করে বিরোধী দলনেতাকেও নিশানা করেছেন তিনি।

তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, পয়সা নিয়েছো আর চাকরি দিয়েছো। ওই গদ্দার অধিকারীরাই আমাকে রোজ বলত। তাই সিস্টেমটা ওরাই ভাল জানে। আজকে তৃণমূলকে বলছে চোর। আমি যদি আজ রাজনীতি না করতাম, আর এই চেয়ারে না থাকতাম, আমি আমার বোনেদের বলতাম, যারা এই মিথ্যে কথা রটনা করে, তাদের জিভগুলোকে টেনে খুলে ফেলে দিতে।

পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পাশাপাশি গরু পাচার থেকে কয়লা পাচার একের পর এক মামলার তদন্তে লাগাতার তৎপর দুই কেন্দ্রীয় এজেন্সি CBI ও ED।

আর তাই বারবার নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে, পার্থ-অনুব্রত’র পর এবার কে? আরও কোনও হেভিওয়েটকে কি গ্রেফতার করতে পারে CBI কিংবা ED?

এই আবহেই এদিনের সমাবেশ থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে, তৃণমূলের একের পর এক হেভিওয়েট নেতার নাম তুলে ধরে বিজেপির উদ্দেশ্যে আক্রমণ শানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।