TMC Shahid Diwas: আবেগ হার মানাল বৃষ্টিকে, উৎসাহ-উদ্দীপনায় বাঁধভাঙা তৃণমূলের ২১ জুলাই

শহরের বুকে মহা সমারোহের আয়োজন। বহুদূর থেকে তার জন্য় ছুটে এসেছেন তৃণমূল সমর্থকরা। ধর্মতলা চত্বরে কার্যতই তিল ধারণের জায়গা ছিল না। তবে শুধু ধর্মতলা নয়, জনস্রোত পৌঁছেছিল কালীঘাটে, তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির উপকণ্ঠেও। সকাল থেকে সেখানে ভিড় উপচে পড়েছে। বাড়িতেই নেত্রীকে একঝলক দেখার আগ্রহ নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বহু মানুষ। ছবি: পিটিআই
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In App
২১ জুলাই, তৃণমূলের শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠান ঘিরে সাজ সাজ রব শহরে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে তো বটেই, বুধবার সকাল থেকেই শহরে ভিড় জমাতে শুরু করেন জেলা থেকে আসা মানুষজন। এ দিন সকালে কালীঘাটেও মানুষের ভিড় চোখে পড়ল। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া অনুপ্রবেশের ঘটনার জেরে মমতার বাড়ির আশেপাশে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। তবে কাছে যেতে না পারলেও আক্ষেপ নেই কারও। তফাতে দাঁড়িয়েই নেত্রীর দর্শন পাওয়ার অপেক্ষায় তৃণমূল সমর্থকেরা। ছবি: পিটিআই

সভা শুরুর আগে এ দিন ধর্মতলা চত্বের মমতাকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাওয়ার দাবিতে সরব হন একদল মানুষ। তাঁদের হাতে ধরে রাখা ছিল ‘ডাক দিচ্ছে জনতা, দিল্লি যাবে মমতা’ স্লোগান। কোথাও আবার ‘উই লাভ দিদি, অলোস লাভ এবি’ পোস্টারও চোখে পড়ে। ব্যাখ্যা চাইলে শোনা যায়, মমতার প্রতি যেমন ভালবাসা রয়েছে, তেমনই স্নেহ-ভালবাসা রয়েছে অলিখিত ভাবে তৃণমূলে তাঁর উত্তরসূরি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিও। সংবাদমাধ্যমে তাই নিঃসঙ্কোচে বলেত শোনা যায় ভিড়কে, ‘‘২০২৪-এ দিদিকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাই আমরা।’’ ছবি: পিটিআই
কোভিডের কারণে গত দুই বছর ধরে এভাবে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ হয়নি। ফলে এবারের সমাবেশ নিয়ে অত্যন্ত উৎসাহ ছিল তৃণমূলের নেতা-কর্মী-সমার্থদের মধ্য়ে। রংবেরংয়ের জামা-মুকুট পরে সমাবেশে এসে উপস্থিত হয়েছিলেন সমর্থকরা। ছবি: পিটিআই
তৃণমূলের শহিদ স্মরণ সমাবেশে আবেগে ভাসলেন ‘বিহারিবাবু’ শত্রুঘ্ন সিন্হা। প্রাক্তন এই বিজেপি নেতা তৃণমূল যোগদান করেছিলেন। তারপর আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে দাঁড়িয়ে জয় ছিনিয়ে এনেছেন। এবার ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে দাঁড়িয়ে তীব্র আক্রমণ করলেন কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারকে। দেশে এখন স্বৈরাচার চলছে বলে দাবি করলেন তিনি। বিজেপি ছাড়তে কেন বাধ্য হন, তা-ও বিশদে ব্যাখ্যা দেন শত্রুঘ্ন। ছবি: পিটিআই
এদিন সকাল থেকেই শুরু হয়েছিল বৃষ্টি। টানা বৃষ্টির মধ্য়েই ভিড় একটুও আলগা হয়নি। বরং যত সময় গিয়েছে ততই তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ভিড় উপচে পড়েছে সভাস্থলে। বৃষ্টি মাথায়, কারও হাতে ছাতা, কারও হাতে তাও নেই। সেভাবেই অপেক্ষা করেছেন কর্মী-সমর্থকরা। বৃষ্টিতে ভিজেই সভায় বক্তব্য রাখেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: পিটিআই
প্রতিবার ২১ জুলাইতেই এই ছবি দেখা যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবির পসরা সাজানো থাকে। সেগুলি কিনতেই ভিড় উপচে পড়ে সমর্থকদের। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ছবি: পিটিআই
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বক্তব্য রাখছিলেন, তখনই সভামঞ্চে এসে পৌঁছন তৃণমূলনেত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকেই দেখেই উল্লাসে ফেটে পড়ে সামনে উপস্থিত কর্মী-সমর্থকরা। মমতা বক্তব্য রাখতে শুরু করতেই ধীর ধীরে বন্ধ হয়ে যায় বৃষ্টি। ছবি: পিটিআই
২১ জুলাইয়ের সমাবেশ উপলক্ষে দূর-দূরান্তের জেলাগুলি থেকে এসেছেন তৃণমূলের সমর্থকরা। ট্রেনে-বাসে করে ধর্মতলায় এসে পৌঁছছেন সমর্থকরা। ট্রেনে করে আসার এমনই ছবি দেখা গেল এদিন। ছবি: পিটিআই
চাকরি ইস্যুতে বিজেপি এবং সিপিএমকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তৃণমূল নেত্রী। শিক্ষক নিয়োগের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর মুখে। জানালেন ১৭ হাজার চাকরি তৈরি। আদালতে মামলার জন্যই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাচ্ছে না। মুড়ি, চালে জিএসটি বসানো নিয়ে, গ্যাসের দামে ঊর্ধ্বগতি নিয়ে আক্রমণ শানিয়েছেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে। ছবি: পিটিআই
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -