Medicine Testing: কোনওটি ব্যবহারের অযোগ্য, কোনওটি নিম্নমানের, কলকাতার ল্যাবে কোন কোন ওষুধ পেল লাল কালি

ফেল করা ওষুধের তালিকা রীতিমতো ভয় ধরানো। কারণ, তালিকার অনেকগুলিই নামি ব্র্যান্ডের।

কলকাতার ল্যাবে কোন কোন ওষুধ পেল লাল কালি

কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের পরীক্ষায় গুণমানের নিরিখে ডাহা ফেল করল দেশের ১৪৪টি ওষুধ! আর এই ১৪৪ টি ওষুধের মধ্যে অনেকগুলিই বহু ব্যবহৃত। অনেক ক্ষেত্রে শিশুদের উপরও দেদার ব্যবহার হয় ওষুধগুলি।

এর মধ্যে ২৬টি নমুনা ফেল করেছে কলকাতার ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবে। ৮টি ওষুধকে সরাসরি ব্যবহারের অযোগ্য বলে ঘোষণা করেছে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন।

প্যারাসিটামল থেকে শুরু করে অ্যান্টিবায়োটিক, প্রেশার, থাইরয়েড, নিউমোনিয়া, নার্ভ থেকে হার্টের অসুখের ওষুধ, কী নেই সেই তালিকায়! তালিকা রীতিমতো ভয় ধরানো। কারণ, তালিকার অনেকগুলিই নামি ব্র্যান্ডের।

১৪৪টির মধ্যে ২৬টি নমুনা ফেল করেছে কলকাতার ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবে। কলকাতার ল্যাবে যে ওষুধগুলি পরীক্ষায় ফেল করেছে, তার মধ্যে রয়েছে ব্যথা কমানোর মেরোপেনাম, লিভারের অসুখে ব্যবহার হওয়া ওষুধ, স্ত্রীরোগ বা ত্বকের অসুখে ব্যবহৃত ওষুধ।

কোনও কোনও নমুনা স্টেরিলিটি পরীক্ষায় ফেল করেছে। কোনও কোনও নমুনায় মিলেছে ব্যাকটেরিয়া! ৮টি ওষুধকে সরাসরি ব্যবহারের অযোগ্য বলে ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল সংস্থা।

ফেলের তালিকায় রয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালসের বিতর্কিত রিঙ্গার ল্যাকটেট এবং অন্য স্যালাইন। মূলত প্রসূতিদের রক্তক্ষরণ বন্ধে, শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখতে ব্য়বহার করা হয় এই 'রিঙ্গার ল্যাকটেট' স্যালাইন।

কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের পরীক্ষায় রিপোর্ট অনুযায়ী, কর্ণাটকের ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবে ফেল করেছে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার কারখানায় তৈরি পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালস সংস্থার ১৬টি ব্যাচের রিঙ্গার ল্যাকটেট এবং অন্য স্যালাইন।