'কী করেছিল মেয়েটা, আমরা কি প্রতিবাদ করতে পারব না?' বলতেই পাকড়ে নিয়ে গেলেন ডিসি ইন্দিরা
' পুলিশ তারমানে ভয় পেয়েছে, কেন লাঠিচার্জ করছে। আমরা সাধারণ মানুষ, আমরা ছাত্র' গর্জে উঠল তরুণ কণ্ঠ। সকাল থেকেই নবান্ন ঘিরে বজ্র আঁটুনি। অথচ তা ভেঙে এগিয়ে যেতে সময় নিল না সাধারণ মানুষের প্রতিবাদের মিছিল।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appছাত্রসমাজের নামে ডাকা হয়েছিল অভিযান। অথচ পথে নামলেন আবালবৃদ্ধবনিতা । সাধারণ মানুষ গলা উঁচিয়ে বলল, আমরা জাস্টিস চাই।
মঙ্গলে নবান্ন অভিযানে লাঠি, কাঁদানে গ্যাস থেকে জল কামান, বাদ যায়নি কিছুই। আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে 'পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ'-এর নবান্ন অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্র হল হাওড়া। রক্তাক্ত হল রাজপথ।
মিছিলের রুট আটকানোর জন্য সকাল থেকেই পুলিশ ছিল তৎপর। প্রতিরোধের প্রাচীর গড়ে তুলতে ক্রেন দিয়ে রাস্তা আটকানো হয় কন্টেনার দিয়ে। ঝালাই করে বানানো হয় দৈত্যাকার গার্ডরেল।
বালির বস্তা ফেলে শক্তপোক্ত করা হয় ব্যারিকেড। কিন্তু তারপরেও জনরোষের কাছে হার মেনেছে সব কিছু। ফস্কা হয়ে গেছে পুলিশের বজ্র আঁটুনি!
কিন্তু সে সব উপেক্ষা করেই এগোতে থাকে মিছিল। একে একে ব্যারিকেড উপরে ফেলে দেয় তারা। তারপর এগোতে থাকে। মরিয়া হয়ে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে।
কলকাতার দিক দিক থেকে এগোতে শুরু করে মিছিল। একেকটি মিছিল আসতে শুরু করে একেক দিক দিয়ে। কার্ষত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হাওড়া ব্রিজ। চলে জলকামান। ছোড়া হয় টিয়ার গ্যাসের শেল।
মহাত্মা গান্ধী রোডে ধর পাকড় করতে নেমে পড়েন ডিসি ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। সেখানে দেখা যায় এই মহিলাকে স্লোগান তুলতে । তাঁকে জোর করে তুলে নিয়ে যান পুলিশ আধিকারিক।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ওই মেয়েটা কী দোষ করেছিল, ওর সঙ্গে এমন হল ! আমরা প্রতিবাদ করতে পারব না ? '
অন্যদিকে হাওড়া ব্রিজে মাথা ফাটে এক পুলিশ আধিকারিকের । তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যান সাধারণ মানুষই।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -