Primary TET: প্রাথমিক টেট-এ বেআইনিভাবে বাড়তি নম্বর! ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত, বন্ধ বেতন
পশ্চিমবঙ্গে আরও একটি মামলার তদন্তভার গেল সিবিআইয়ের হাতে। ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট-এ দুর্নীতি হয়েছে এমন মামলায় এবার বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। অবিলম্বে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে FIR দায়ের করে এই তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করতে বললেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appঅভিযোগ, ২০১৪’র টেটে দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকায় থাকা ২৬৯ জনকে বেআইনিভাবে বাড়তি ১ নম্বর করে দেওয়া হয়েছে। যদিও পর্ষদের পাল্টা জবাব ছিলে একটি প্রশ্নে ভুল থাকাতেই এই সিদ্ধান্ত।
বিচারপতি পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, সেবার পরীক্ষা দিয়েছিলেন ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থী, তাহলে সবাইকে এক নম্বর করে না দিয়ে, কেন শুধু ২৬৯ জনকে বাড়তি নম্বর দেওয়া হল?
শুধু তাই নয়। অভিযোগ ওঠে, ফেল করে, এমনকি পরীক্ষা না দিয়েও, ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেয়েছেন। ২০১৪’র টেটের পর ২০১৬ সালে নিয়োগের প্রথম প্যানেল প্রকাশ করা হয়। ২০১৭ সালে প্রকাশ পায় নিয়োগের দ্বিতীয় তালিকা। সেখানে ২৬৯ জন প্রার্থীর নাম ছিল।
অভিযোগের তালিকা ছিল অনেক বড়, নম্বর বাড়ানো ও নতুন প্যানেল প্রকাশের বিষয়ে কেন বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি, সেই প্রশ্নও তোলেন বিচারপতি। যদিও এর কোনও গ্রহণযোগ্য উত্তর দিতে পারেনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এরপরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এই নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে।
তাই অবিলম্বে এই মামলায় FIR দায়ের করে সিবিআইকে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে তিনি নির্দেশ দেন, ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হচ্ছে। অবিলম্বে তাঁদের বেতনও বন্ধ করতে হবে।
পাশাপাশি তাঁরা যাতে কোনওভাবেই বরখাস্ত হওয়া প্রাথমিক শিক্ষকরা যাতে স্কুলে ঢুকতে না পারে, তারজন্য জেলা স্কুল পরিদর্শককে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, আদালতের এই নির্দেশে আশার আলো দেখছেন চাকরিপ্রার্থী। যাঁরা গত আটবছর ধরে চাকরির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। যদিও চাকরি প্রার্থীদের কথায়, আন্দোলনে হারিয়ে যাওয়া বছরগুলো আর ফিরবে না। কিন্তু, ভবিষ্যৎ কি অতীতের ক্ষতে মলম দেবে? সেই আশা নিয়েই বসে রয়েছেন এরকম বহু চাকরিপ্রার্থী।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -