Durga Puja 2021 : মহিষাসুরমর্দিনী নন, বড়শুলের 'দে' বাড়িতে পুজিত হরগৌরীর মূর্তি, এ বাড়ির প্রতি ইটে কথা বলে ইতিহাস
দেবী দুর্গা মহাদেবের বাম ঊরুতে বসে।দেবী এখানে দশভুজা নন। মহিষাসুরও নেই। আড়াইশো বছর ধরে পূর্ব বর্ধমানের বড়শুলের 'দে' বাড়িতে পুজিত হচ্ছেন হরগৌরী।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appকথিত আছে, জমিদার যাদবচন্দ্র দে-র আমলে তেমনই সাধুসন্তরা এসে ঝোলা থেকে বেশ কয়েকটি ছবি বের করেছিলেন। তার পর পরিবারের এক কন্যাশিশুর চোখ বেঁধে একটি ছবি তুলতে বলেছিলেন তাঁরা। সেই কন্যাশিশু হরগৌরীর ছবিটি তুলেছিল। সেই থেকেই হরগৌরীর পুজো শুরু হয় এখানে।
সপ্তমীতে গোটা ছাঁচিকুমড়ো বলি দেওয়া হয়। অষ্টমীতে ছাগবলি হয়। নবমীতে তিনটে ছাঁচিকুমড়ো, চারটি শসা, বাতাবি লেবু ও মূলসহ তিনটি আখ বলি দেওয়া হয়
সন্ধিপুজোয় বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা বাড়ির পুজোর কামানের আওয়াজ শুনে সন্ধিপুজোর বলিদান শুরু হতো।বর্তমানে তা অতীত।সর্বমঙ্গলা মন্দিরে কামান দাগা কয়েক দশক আগেই বন্ধ হয়ে গেছে
দেবী এখানে দশভুজা নন। মহিষাসুরও নেই। সন্তানরার সকলেই রয়েছেন। গণেশ ও কার্তিকের বাহন রয়েছে। কিন্তু লক্ষ্মী ও সরস্বতীর বাহন থাকে না।
অতীতের আভিজাত্য, ঐতিহ্য, ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে বিশাল বিশাল অট্টালিকা। পলেস্তারা খসে পড়েছে অনেক জায়গায়। সরু ইটেও ক্ষয় ধরেছে।ঠাকুর বাড়িতে ঢোকার একটা সিংহদারজা ভেঙে যাওয়ায় নতুন করে করতে হয়েছে। তবে কয়েকটি বাড়িতে এখনও পরিবারের উত্তরসূরিরা বসবাস করেন। বাকি ফাঁকাই পড়ে রয়েছে।
একসময় ঠাকুরদালানে রেড়ির তেলে ঝারবাতি জ্বলে উঠতো।দুর্গাপুজো উপলক্ষে আলোয় জলমল করে উঠতো ঠাকুরদালান সহ জমিদার বাড়ি। ঠাকুরদালানের প্রবেশ পথে ছিল বিশাল ঘণ্টা। কুইন্ট্যাল খানেক ওজন ছিল তার।
কিন্তু সেইসব চুরি করে নিয়েছে দুষ্কৃতীরা। কিন্তু পরম্পরা মেনে আজও নিয়ম নিষ্ঠার সহিত হরগৌরীর আরাধনা হয় 'দে' পরিবারে।
দশমীর দিনে দেবীকে বাঁশের সাং বেঁধে কাঁধে করে গোটা গ্রাম ঘুরিয়ে বিসর্জন করা হয়। ছবি : কমলকৃষ্ণ দে
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -