দুর্গার রকমারি সাজ-পোশাকের সমাহার! পুজোর মুখে তুঙ্গে ব্যস্ততা, এই গ্রাম যেন এক অন্য শপিং মল
এ যেন অন্য শপিংমল এখানে শুধুই বিক্রি হয় দেবী দুর্গা, লক্ষ্মী ,সরস্বতী , কার্তিক ও গণেশের রংবেরঙের শোলার সাজ থেকে গহনা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appদুর্গাপুজো মানেই নতুন জামা কাপড়, ঝলমলে পোশাক। আর তা কিনতেই শপিংমল গুলোতে এখন উপচে পরা ভিড় বাঙালির। আর যাকে নিয়ে এত উন্মাদনা সেই দেবী দুর্গা আর তার সন্তানেরাই বা কেন বাদ যাবেন ঝলমলে নতুন পোশাক থেকে।
তাই দুর্গা প্রতিমার পোশাক পছন্দ করতে পুজো উদ্যোক্তারা ভিড় জমাচ্ছে বনকাপাশি গ্রামে। শোলার সাজের গ্রাম হিসেবে পরিচিত পূর্ব বর্ধমানের বনকাপাশি গ্রাম।
এই গ্রামের প্রতিটি ঘরে ঘরেই তৈরি হয় শোলার সাজ। পুজো আসতেই সেখানেই তৈরি হচ্ছে শোলা,জরি ও চুমকি দিয়ে দেবী দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী ,কার্তিক ,গণেশের ঝলমলে শোলারা পোশাক, সাজসজ্জা আর গহনা।
আদি সাদা ডাকের সাজ থেকে শুরু করে রংবেরঙের শোলার সাজ তৈরি করতে এখন ব্যস্ত বনকাপাসীর শোলা শিল্পীরা। মাথার মুকুট, কানের কলকা, আঁচল, হাতের বালা, পায়ের নুপুর সবই তৈরি হচ্ছে শোলা দিয়ে। আর তা দিয়ে সেজে উঠবে দেবী দুর্গা ,লক্ষ্মী সরস্বতী।
কার্তিক গণেশের জন্য তৈরি হচ্ছে রাজ পোশাক থেকে শুরু করে, নিত্য নতুন ডিজাইনের পোশাক। আর পুজো উদ্যোক্তারা সেই সব শোলা ও জরির সাজ সরঞ্জাম পছন্দ করতে পৌঁছে যাচ্ছে বনকাপাসি গ্রামে।
শপিংমলে গিয়ে ঠিক যেমন নানান রংবেরঙের পোশাক থেকে বেছে নেয় নিজের পছন্দের পোশাক, সেই ভাবেই দেবী দুর্গার জন্য পছন্দের রংবেরঙের শোলা ও জরির সাজ বেছে নিচ্ছে পুজো উদ্যোক্তারা।
দেবী দুর্গার সাজের জন্য কলকাতা থেকেও অর্ডার আসছে বনকাপাশি গ্রামে। এবারে পঞ্চাশ ফুটের শোলার সাজের অর্ডার এসছে এই গ্রামে। সেই সাজ তৈরি করতে ব্যাস্ত শোলা শিল্পে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত আশীষ মালাকার।
তিনি বলেন, এর আগে এত বড় শোলার সাজের অর্ডার আর কখনও আসেনি। বনেদি বাড়িগুলি থেকে মূলত আভিজাত্য সাদা শোলার ডাকের সাজের অর্ডার আসছে বেশি। আর ক্লাবগুলো চাইছে রংবেরঙের ঝলমলে শোলার উপর জরির কাজ করা সাজ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -