Rabindra Nath Tagore : কালিম্পংয়ের গৌরিপুর হাউস, রবিস্মৃতিবিজড়িত এই বাড়ি এখন ঘুটঘুটে অন্ধকারে, শুনুন গল্প
কালিম্পং শহর থেকে দক্ষিণ দিকে রিং কিং পিং রোড ধরে এগোলেই গৌরীপুর হাউস। ভরা পর্যটনের মরসুমেও এখানে ভিড়ভাট্টা নেই। বরং একটা গা ছমছমে ভাব আসতে পারে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appকালিম্পং শহরে বেড়াতে এসে চিত্রভানুতে অনেকেই যান। রবি-পুত্র রথীন্দ্রনাথের সাধের চিত্রভানু। কিন্তু রবিস্মৃতিবিজড়িত গৌরিপুর হাউসের খোঁজ অনেকেই রাখেন না।
ঝুল বারান্দার সামনে উন্নত শির দুই কর্পূর গাছ, কবির হাতে বসানো। সবই আছে, নেই শুধু যত্নের ছাপ। এই বাংলায় অনাদরে পড়ে রবিস্মৃতি।
এ বাড়ি কি রবি ঠাকুরের ? ইতিহাস বলছে , না। আদতে বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার বাসিন্দা ব্রজেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর বাড়ি এটি।
এই বাড়িতে ১৯৩৮ সাল থেকে ১৯৪০ এর মধ্যে বার চারেক কবি এসেছিলেন। ১৯৪০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রবীন্দ্রনাথ শেষবার এই বাড়িতে আসেন।
এই বাড়িতে জড়িয়ে থাকা নানা স্মৃতির মধ্যে সবথেকে গুরুত্ববহটি ধরা এই ফলকে। এই বাড়ি থেকেই টেলিফোনে সরাসরি বেতারে কবিতা পাঠ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তাও নিজের জন্মদিনে, জন্মদিন কবিতাটি।
বাড়িটি হেরিটেজ কমিশনের আওতাতেও আসে ২০১৮ সালে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কেন এই বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সরকার নেয়নি এখনও এই নিয়ে নানা কথা শোনা যায়।
কালিম্পংয়েই রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিধন্য চিত্রভানু। পরবর্তীতে রবীন্দ্রনাথের পুত্রবধূ নাকি লিজও নেন এই বাড়িটি। তবে বাড়িটির বর্তমান দাবিদার কে, তাই নিয়ে নাকি সংশয় আছে।
ঝুলবারান্দার উল্টোদিকে কালো হয়ে ওঠা ফায়ারপ্লেস। বহুকাল না রং হওয়া দেওয়াল। অব্যবহারে জং পড়ে যাওয়া দরজার হ্যাজবোল।
রঙিন কাচ ভেদ করে রঙিন হয়ে ঢুকে পড়ে পাহাড়ি সূর্যের আলো।
এ বাড়িতে একাধিকবার এসেছেন মৈত্রেয়ী দেবী। এসেছেন, কবি ঘনিষ্ঠ আরও বিশিষ্ট জনেরা। এত স্মৃতিকে বুকে আঁকড়ে আজও পাহাড়ের কোলে গৌরিপুর হাউস একা, নিঃসঙ্গ, কিছুটা যেন অভিমানীও !
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -