Remal Cyclone Update: ফুঁসছে নদী, বাড়ছে হাওয়ার দাপট! রেমাল-বিপদ রুখতে সুন্দরবনে তুঙ্গে প্রস্তুতি
আর কয়েকঘণ্টা পরেই রাজ্যে আছড়ে পড়তে চলেছে রেমাল। তার আগেই থেকেই আকাশে জমেছে মেঘ, বেড়েছে হাওয়ার গতিবেগ। সুন্দরবন ও রাজ্যের উপকূলীয় এলাকায় ইতিমধ্যেই ফুঁসতে শুরু করেছে নদী। ওই এলাকাগুলিতে ঝড়ের কথা মাথায় রেখে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appস্থলভাগের সঙ্গে জলভাগের তাপমাত্রার তারতম্য রয়েছে। ফলে এখন ঝড়ের যা গতিবেগ, তার থাকে আরও বাড়তে পারে এই ঝড়ের গতিবেগ। সব কথা মাথায় রেখেই সাবধানতা নিতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে।
ফ্রেজারগঞ্জে উপড়ে পড়েছে গাছ। সতর্ক হচ্ছে প্রশাসন। ঝড়ের জন্য কাকদ্বীপে ফেরি পরিষেবা পর্ষটকদের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। উত্তর ২৪ পরগনায় হিঙ্গলগঞ্জে মাটির বাঁধ ভেঙে ঢুকতে শুরু করেছে জল। যার ফলে আতঙ্কে এলাকাবাসী।
হিঙ্গলগঞ্জের লেবুখালিতে ইছামতী নদীতে জলস্তর বেড়ে চলায় রবিবার সকাল সাড়ে ১১টাতেই বন্ধ হয়ে যায় ভেসেল পরিষেবা। শেষ ভেসেল ধরতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় যাত্রীদের মধ্যে।
শুধু সুন্দরবন নয়, ঘূর্ণিঝড় রেমাল নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে রাজ্যের অন্য উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দা। পূর্ব মেদিনীপুরের জুনপুটেও রয়েছে আতঙ্কের ছবি।
কলকাতা নিয়েও ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রেমাল আছড়ে পড়ার আগেই গঙ্গায় জলস্তর হতে পারে ১৬ ফুটের বেশি। এর জন্য দুপুর দেড়টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত গঙ্গার ঘাটের লকগেটগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। দুপুর ৩টেয় গঙ্গার জলস্তর হবে সবথেকে বেশি। এই সময়ে কলকাতায় বৃষ্টি হলে জল জমার আশঙ্কা থাকছে।
ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়লে দ্রুত ভাঙা গাছ রাস্তা থেকে সরিয়ে ফেলতে তৈরি পুরসভার বিশেষ টিম। কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে সকাল থেকে কলকাতাজুড়ে চলছে ড্রেন পরিষ্কারের কাজ। নামানো হয়েছে অত্যাধুনিক পাম্প।
নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের ফ্লাড সেন্টারে আশ্রয় নিতে বলে মাইকে প্রচার করা হয় প্রশাসনের তরফে। ঘোড়ামারা, মৌসুনি ও জি প্লট - সুন্দরবনের এই ৩টি দ্বীপে শুকনো খাবার ও পানীয় জল মজুত করা হয়েছে।
বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা থাকায় স্থানীয় ত্রাণ শিবিরে সরানো হয়েছে উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের। জেলা, মহকুমা ও ব্লক স্তরে কন্ট্রোলরুম খুলে নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসন। দিঘা, বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ, মৌসুনি, গঙ্গাসাগর-সহ সমস্ত পর্যটনকেন্দ্রে রবি থেকে সোমবার পর্যন্ত সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।
এদিকে পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া বন্দরেও বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়। মোটা দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয় বন্দরে আসা জাহাজগুলো। রবিবার বিকেল থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানামার কাজ বন্ধ রাখা হয়।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -