Chandi Mela: রায়চোধুরী বংশের হাত ধরে শুরু হয়েছিল পুজো, চন্ডীমেলা ঘিরে আজও একই আমেজ বড়িশায়
প্রতিবছর অগ্রহায়ণ মাসের শুক্লাষ্টমী তিথিতে বড়িশায় পূজিতা হন সাবর্ণদের দেবী চণ্ডী। পুজো উপলক্ষ্যে পাশের মাঠেই বসে বিশাল মেলা। ইংরেজ জমানার কলকাতা জমিদারি ছিল সাবর্ণ রায়চৌধুরী বংশের।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appএই রায়চৌধুরী পরিবারের বংশধর ছিলেন সন্তোষ রায়চৌধুরী। সন্তোষ রায়চৌধুরীর বংশধর মহেশচন্দ্র রায়চৌধুরী ১৭৯২ সালে নিজের বাড়িতে চণ্ডীদেবীর আরাধনা শুরু করেন। উল্লেখ্য, এই সন্তোষ রায়চৌধুরী সপ্নাদেশ পেয়ে কালীঘাটের মন্দির তৈরি করিয়েছিলেন।
প্রতিবছরের মতো এই বছরও ১৯শে ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে বেহালায় বড়িশা চন্ডী পুজা ও চন্ডী মেলা। চলবে আগামী ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। যদিও করোনাকালে বন্ধ রাখা হয়েছিল মেলার আয়োজন।
শোনা যায়, সন্তোষ রায়চৌধুরী নিজেদের বসতবাড়ির পুকুরে স্নান করতে গিয়ে অষ্টধাতুর একটি কলস খুঁজে পান। সেই কলস দেখতে পেয়ে তা তুলে আনেন এবং বাড়ির উঠোনেই রেখে দেন।
তার দিনকয়েক বাদে দেবী চণ্ডীকে অষ্টধাতুর সেই কলসিতে প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্নাদেশ পান তিনি। বছরে একবার দেবীর মূর্তি এনে পুজো করার আদেশও পেয়েছিলেন। সেই থেকেই পরম্পরা মেনে চলছে পুজো এবং পুজো উপলক্ষ্যে মেলা।
পণ্ডিতরা সব কথা শুনে জানাম, দেবী চণ্ডীর স্বপ্নাদেশ পেয়েছেন সন্তোষ রায়চৌধুরী । এর পর বিধি মেনে দুর্গাপুজোর পঞ্চমীতে প্রতিষ্ঠিত হন দেবী। সেই থেকে দুর্গাপুজোর পঞ্চমীতে চণ্ডীবাড়িতে দেবীর জন্মতিথি পালিত হয়। মেলা বসে সেই সময়ও।
ত্রিনয়না দেবী চন্ডী এখানে রক্তবসনা, নরমুণ্ডমালা পরিহিতা। পঞ্চ অসুরের মুণ্ডের ওপর অধিষ্ঠিতা তিনি। তাঁর চার হাত। এক হাতে পুস্তক, এক হাকে রুদ্রাক্ষমালা, অন্য দু-হাতে বরমুদ্রা ও অভয়মুদ্রা।
প্রতিবছর এই মেলা দেখতে ভীড় জমান বহু মানুষ। শুধু বেহালাবাসীই নন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বহু মানুষের সমাগম হয় এই পুজোয়।
বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে আগামী ২৯ শে ডিসেম্বর বিসর্জন হবে চন্ডী ঠাকুরের। চন্ডী পুজা উপলক্ষেই মেলার আয়োজন। প্রায় পাঁচশোর কাছাকাছি বিভিন্ন ধরনের স্টল রয়েছে এই মেলায়।
এই মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে কর্তৃপক্ষের তরফে। বসে আঁকো প্রতিযোগিতা, রক্তদান শিবিরসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হয় এই মেলাকে কেন্দ্র করে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -