Suvendu At Sandeshkhali : শাঁখ, উলুতে সন্দেশখালিতে পা, 'কাঁদনি মা কাঁদনি' বৃদ্ধাকে বুকে টানলেন শুভেন্দু
কারও চোখে জল। কারও উদ্বেল মুখ। কারও মুখে স্বস্তির হাসি। মঙ্গলবার সন্দেশখালিতে শুভেন্দু অধিকারী পেলেন আন্তরিক অভ্যর্থনা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appশাঁখ বাজিয়ে , ফুল ছুড়ে, জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে বরণ করে নেওয়া হল শুভেন্দুকে। যেন তাঁর অপেক্ষাতেই বসেছিলেন সন্দেশখালির মা-বোনেরা। আবেগ বাধ মানল না। একজন বললেন, উনি আমাদের জন্য এসেছেন, আমাদের কথা ভেবেছেন, আমরা কৃতজ্ঞ। উঠল উলুধ্বনি।
'কাঁদনি মা কাঁদনি', চোখের জল মোছালেন সন্দেশখালির মহিলার। তারপর প্রতিশ্রুতি দিলেন তিনি শীঘ্রই আবার আসবে। যাবেন জেলিয়াখালিতে।
পাঁচের শিশু থেকে আশির বৃদ্ধ সকলেই ঘিরে ধরলেন শুভেন্দুকে। জানালেন নিজেদের সমস্যার কথা । তিনিও সবার অভিযোগ মন দিয়ে শুনলেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বললেন। ব্য়ক্তিগতভাবে অনেককে ফোন নম্বর দিলেন।
শেষপর্যন্ত গ্রাম ছাড়ার আগে জানালেন আবার আসবেন ২৫ তারিখ। গ্রামের মানুষদের সঙ্গে কথা বলবেন।
এক বৃদ্ধা কথা বলতে বলতে কেঁদেই ফেললেন। বৃদ্ধাকে জড়িয়ে চোখের জল মোছালেন শুভেন্দু। বললেন, ' আমাদের ওপর ভরসা আছে তো? তুমি মা মাতঙ্গিনী হাজরা, শক্ত থাকো মা...'
শুভেন্দুকে দেখে জড়ো হওয়া মহিলাদের দেখে তিনি বললেন, 'সব গ্রামে শাঁখ আছে তো? রাতে পুলিশ বা পুলিশের পোশাক পরে কেউ এলে শাঁখ বাজাবেন। নন্দীগ্রামের আন্দোলন দেখেছেন তো? '
কেউ আবার বললেন বহুদিন ভোট দিতে পারেননি, রাতে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে ভয় করে। শুভেন্দুও সংবাদমাধ্যমকে বললেন '১২ বছর। মমতা যতদিন মুখ্য়মন্ত্রী ভোট দিতে পারেননি! ১১ সালে লাস্ট'
এদিন সন্দেশখালি সফরে শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, 'সন্দেশখালি, মমতার চেয়ার করবে খালি'। বলে গেলেন, 'সুনামি। মমতা শেষ। পালা রে পালা রে...ভয়ঙ্কর আটকানো। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে আটকে বলছে ওয়েট করুন, ডিভিশন বেঞ্চের রায় অবধি। '
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েপ উদ্দেশে শুভেন্দু বলে গেলেন, ''আমি অনুরোধ করব, মুখ্য়মন্ত্রী এখানে আসুন। এখানকার মহিলারাই বুঝিয়ে দেবেন বহিরাগত না এখানকার বাসিন্দা। এরপরও আপনি যদি ক্ষমতায় থাকেন, ধিক্কার। ''
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -