TET Agitation : পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ, টানটান উত্তেজনা, এখন ঠিক কী অবস্থা করুণাময়ীর
পুলিশের সংখ্যা বাড়ার মতোই একজোট হয়ে তীব্র প্রতিরোধের সুর আরও জোরালো করতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In App১৪-র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য, 'মারতে এল মার খাব। হয় পুলিশের মারে মরব, নয়তো না খেয়ে। তবে নিজেদের দাবি থেকে আমরা একচুলও নড়ব না। চাকরি না পেয়ে আমরা এক চুলও নড়ব না।'
তাঁদের কথায় কথায়, 'এতদিন ধরে ন্যায্য চাকরি পাওয়ার জন্য কিছু করতেই তো বাকি রাখিনি আমরা। সবটা দিয়ে লড়াই করার পরও সব পথ বন্ধ হয়ে গেছে দেখেই তো এই চূড়ান্ত পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছি।'
করুণাময়ীতে টানা চারদিন ধরে চলছে ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ নন-ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান-ধর্না। যার মধ্যে টানা তিনদিন নির্জলা অনশন চলছে তাঁদের।
গত দিন দুয়েকে একের পর এক চাকরিপ্রার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এদিন সন্ধেতেও পুলিশি তৎপরতা বাড়ার পরও বেশ কয়েকজন শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করেন।
কিন্তু পুলিশে পুলিশে করুণাময়ী ছয়লাপ হয়ে গেলেও আন্দোলন তুলে নিয়ে তাঁরা যে উঠে যাবেন না, সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন আন্দোলকারীরা। যার জেরে গোটা এলাকায় তৈরি হয়েছে টানটান উত্তেজনা।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কর্মীদের অফিসে ঢোকা-বেরোনো নিশ্চিত করতে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। গাড়ি নিয়ে পর্ষদের অফিস পর্যন্ত যাওয়ার আবেদনে অবশ্য হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট।
তবে হাইকোর্ট জানিয়ে দিল ‘বহাল থাকা ১৪৪ ধারা কার্যকর করতে পদক্ষেপ নিতে পারবে পুলিশ (Police) ’, ৪ নভেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে অন্তর্বর্তী নির্দেশ।
হাইকোর্টের যে নির্দেশের পরই সন্ধে থেকে করুণাময়ী এলাকায় বাড়তে থাকে পুলিশ। বারবার মাইকে প্রচার চালানো হয়। তৈরি হয় নাটকীয় পরিস্থিতি।
১৪৪ ধারা মেনে অবস্থান চালাতে নতুন কৌশল নিয়ে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে অবস্থান শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা। (ছবি ও তথ্য- ব্রতদীপ ভট্টাচার্য ও সুকান্ত মুখোপাধ্যায়)
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -