Snake Bite Antivenom : সাপের বিষের প্রতিষেধক, কীভাবে তৈরি হয় অ্যান্টিভেনাম ?
সাপের কামড়ে মানুষের মৃত্যু বাংলায় মস্ত বড় সমস্যা। বেসরকারি সূত্রের দাবি, গত বছর ৬৫০-জনের বেশি মারা গিয়েছিলেন সাপের কামড়ে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appবাংলায় ১২০ থেকে ১২৫ ধরনের সাপ থাকলেও মাত্র ৪ ধরনের বিষধর সাপ রয়েছে। যাদের কামড়েই চিকিৎসায় দেরি হলে হতে পারে মৃত্যু।
কেউটে, গোখরো, চন্দ্রবোড়া ও কালাচ (কালাচিতি) এই চার ধরনের বিষধর সাপ পাওয়া যায় বাংলায়। প্রথম দুই ধরনের সাপ ফণা-যুক্ত। বাকি দুই প্রজাতির সাপের ফণা নেই।
কেউটে, গোখরো ও কালাচের ক্ষেত্রে সাপের বিষ শরীরে যাওয়ার পর খানিক পর থেকেই তা প্রভাব ফেলে মানুষের স্নায়ুতন্ত্রে। সাপগুলিকে বলা হয় নিউরোটস্কিক (Neuro Toxic)। আর চন্দ্রবোড়া হেমাটক্সিক। প্রভাব ফেলে রক্তে।
ভারতে সব রকমের সাপের কামড়ের জন্যই একটি মাত্র অ্যান্টিভেনাম ব্যবহৃত হয়। যার নাম পলিভ্যালেন্ট অ্যান্টিভেনাম (Polyvalent Antivenom)।
বাংলায় সাপের কামড়ের সমস্যা গুরুতর হলেও রাজ্যে এই মুহূর্তে অ্যান্টিভেনাম তৈরি করার কোনও সেন্টার নেই। গোটা দেশের মধ্যে রয়েছে একটিই।
তামিলনাড়ুর মহাবলীপূরমের ইরুলা সোসাইটিতে অ্যান্টিভেনাম তৈরি হয়ে গোটা দেশে পৌঁছে যায়। বাংলাতেও আসে যে পলিভ্যালেন্ট অ্যান্টিভেনাম।
সাপের বিষ সংগ্রহ করে সেটি ঘোড়ার শরীরে প্রবেশ করিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে প্রতিষেধক। বলা ভাল ঘোড়ার দেহের রক্তে তৈরি হওয়া বিষ প্রতিরোধকই প্রক্রিয়াজাত করে বানানো হয়ে থাকে মানুষের জন্য অ্যান্টিভেনাম।
যদিও দেশে একটি মাত্র অ্যান্টিভেনাম তৈরির জায়গা থাকায় বিভিন্ন সময় দেখা যায় সমস্যা। ভৌগলিক অবস্থান ভেদে বদলে যায় সাপের বিষের চরিত্র। তাই যে সাপের বিষের প্রতিষেধক তৈরি হয়েছে তামিলনাড়ুতে তা বাংলায় সাপে কামড়ানো কোনও রোগীর দেহে সঠিকভাবে কাজ নাও করতে পারে, এমন আশঙ্কাও থাকে।
বিষধর সাপে কামড়ালে চোখ খুলে রাখতে গেলেও প্রচণ্ড সমস্যা হয়। বাংলায় যাকে বলে শিবনেত্র। ইংরেজি প্রতিভাষা টসিস (Tosis)। তাই যে কোনও সাপে কাটা রোগীর দেহে দ্রুত অ্যান্টিভেনাম প্রয়োগই একমাত্র উপায় তাঁদের প্রাণ বাঁচানোর।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -