WB Flood Situation: টানা বৃষ্টির জের; দক্ষিণের জেলাগুলিতে জলযন্ত্রণা, ব্যাহত জনজীবন

Weather Update: জল থইথই রাস্তা। জলের তলায় কৃষিজমি। একনগাড়ে বৃষ্টি আর সেই সঙ্গে ডিভিসির জল ছাড়ার জেরে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বহু মানুষ। কৃষিজমি জলের তলায় থাকায় বাড়ছে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা।

ফাইল ছবি

টানা বৃষ্টিতে এখনও জলমগ্ন ঘাটাল। পুর এলাকার তেরোটি ওয়ার্ড জলমগ্ন। পাঁচটি পঞ্চায়েত এলাকাও জলের তলায়। যাতায়াতে ভরসা ডিঙ্গি নৌকা।

লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বাঁকুড়া জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। গত দুদিনে বাঁকুড়া জেলায় মোট ৭৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। দ্বারকেশ্বর-সহ জলস্তর বাড়ছে শালী নদী, গন্ধেশ্বরী, শিলাবতী নদীতে। পাত্রসায়রে নারায়ণপুর থেকে ধগড়িয়া যাওয়ার রাস্তার ওপর দিয়ে বইছে নদীর জল।

শালী নদীর জলস্তর বেড়ে রাস্তায় উঠে আসায়, যাতায়াত বন্ধ। পাত্রসায়র ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছতে প্রায় ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হচ্ছে।

নারায়ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে পৌঁছতে পারছে না চাঁপাবনি গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীরা। কয়েকশো বিঘা ধান জমি জলের তলায়। বিপুল ক্ষতির আশঙ্কায় মাথায় হাত পড়েছে কৃষকদের। 

জলমগ্ন ঘাটালে কার্যত বন্ধ পঠন-পাঠন। সকুলে আসতে পারছে না ছাত্ররা। পিছিয়ে গেল কয়েকটি স্কুলের পরীক্ষা।

হুগলির আরামবাগে অতিবৃষ্টি ও ডিভিসির ছাড়া জলে কার্যত বন্য়া পরিস্থিতি। গতকালের তুলনায় আরও খারাপ হয়েছে পরিস্থিতি। জলের তলায় আরামবাগ-কলকাতা রাজ্য় সড়ক।

৪টি পঞ্চায়েত এলাকার বিস্তীর্ণ অংশ জলের তলায়। নতুন করে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে একাধিক গ্রাম। বহু কাঁচা ও পাকাবাড়ির একতলা জলমগ্ন। আরামবাগের মায়াপুর এলাকায় বেশকিছু দোকানে জল ঢুকে পড়ায় ব্যবসায়ীরা জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য হন। 

নিম্নচাপের বৃষ্টি ও ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত হরিপাল ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা। হরিপাল ব্লকের সহদেব, দ্বারহাটা, কৈকালা গ্ৰাম পঞ্চায়েতের চাষের জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে।

আমন ধানের মরশুমে চাষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। স্কুল, কলেজ, বাজার, কোথাও যেতে পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা।