West Bengal Corona: বাংলায় ফের বাড়ল হোম আইসোলেশনের সংখ্যা
বাংলায় গত ২৪ ঘন্টায় লাফিয়ে বাড়ল কোভিড সংক্রমণের সংখ্য়া। সংখ্যাটা প্রায় দ্বিগুণের পথে। গত রাজ্যের বুকে কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা ৪০৬ জন। যেখানে গত ৪৮ ঘন্টায় সংখ্যাটা ছিল ২২৪।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appএদিকে হাসপাতালের বেডগুলি সেভাবে দ্রুত না বাড়লেও বাড়ছে হোম আইসোলেশন সংখ্যা। কারণ আচমকাই কোভিডের সংখ্যা বাড়তেই এই মুহূর্তে বেশি বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিচ্ছে স্বাস্থ্য ভবন। তবে শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক হলে হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে।
রাজ্যে সরকারের কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ৪৮ ঘন্টায় যেখানে কোভিডের জেরে হোম আইসোলেশনের সংখ্যা ১৯৮৮ জন। সেটা বেড়ে গত ২৪ ঘন্টায় ২২৭৯ জন। তবে তাঁদের কাউকেই এখনও অবধি সেফ হোমে নিতে হয়নি।
আশঙ্কার মধ্যে সামান্য স্বস্তি এটাই যে, বাংলায় গত ২৪ ঘন্টায়, হাসপাতালে কোভিড সংখ্যাটা কমেছে। গত ৪৮ ঘন্টায় ৫৬ জন হাসপাতালে ভর্তি ছিল। তবে গত ২৪ ঘন্টায় সংখ্যাটা কমে এসে ৫০ এ দাঁড়িয়েছে।
বাইশের শুরুতে যে হারে কোভিডের সংখ্যাটা বেড়ে গিয়েছিল, তার থেকে আশঙ্কা বেশি ছিল একুশে কোভিড গ্রাফে। কারণ কোভিডের তৃতীয় ঢেউ বেশি ছড়ালেও আঘাত হেনেছিল দ্বিতীয় ঢেউ। মৃত্যুর হার ছিল সর্বোচ্চ। তাই তৃতীয় ঢেউ সেই হারে না বাড়লেও কোভিডের চতুর্থ ঢেউ নিয়ে আশঙ্কায় সবাই।
রাজ্যে সরকারের কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় কোভিড ভ্যাকসিন পেয়েছেন ৭০ হাজার ৮৩৩ জন। তবে রাজ্যে বুস্টার ডোজ পেয়েছেন অধিকাংশ প্রবীণ নাগরিক। তবে সেক্ষেত্রে কোভিড যোদ্ধারা আগের মতোই অগ্রাধিকার পাচ্ছে।
বাংলায় গত ২৪ ঘন্টায়, স্যাম্পেল টেস্ট ৫৩৪১ জনের হয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠেছে নুমনা টেস্ট কত জন করছে। অর্থাৎ কতজন আদৌ সন্দেহ করছে কিংবা কোভিডের উপস্বর্গ খেয়াল করে আইটি-পিসিআর করাচ্ছে। কারণ তাহলেই জানা যাবে প্রকৃত কোভিডের সংখ্যা।
রাজ্যে সরকারের কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ৪৮ ঘন্টায় কোভিডের পজিটিভিটি হার ৪.১৯ শতাংশ। সেটা গত ২৪ ঘন্টায় সেটা বেড়ে কোভিডের পজিটিভিটি হার ৪.৭৪ শতাংশ। আর এটাই আশঙ্কা বাড়িয়ে দিচ্ছে।
তবে সম্প্রতি কোভিডের হটস্পট এলাকাগুলিও চিহ্নিত করা হয়েছে। একুশ ও বাইশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কলকাতা ও পাশ্ববর্তী এলাকা এবং পাশাপাশি হাওড়া, মালদা সব এলাকাগুলিকেই নজরে রাখা হচ্ছে।
কোভিডের গত ২৪ ঘন্টার বুলেটিন অনুযায়ী,রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। যদিও গত ৪৮ ঘন্টায় প্রেক্ষাপটটা একই ছিল। মৃত্যুর হার কম থাকলেও চতুর্থ ঢেউয়ের আতঙ্কে রয়েছেন সবাই।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -