Hailstorm : চৈত্র পড়তেই জেলায় জেলায় শিলাবৃষ্টি ? কীভাবে অত ওপরে জমাট বাঁধে বরফ, নেমে আসে গোলার মত ?

চৈত্র বৈশাখের বিকেলের দিকে আকাশ কালো করে এসে ঝড়-বৃষ্টি পড়া সারা দিনের গরমের পর একটু স্বস্তি এনে দেয়। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে গরমের দুপুর-বিকেলে বজ্রবিদ্যুৎ সহ শিলাবৃষ্টি হয় প্রায়শই।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In App
বৃষ্টির ফোঁটার সঙ্গে অনেক সময়ই টুপটাপ পড়তে থাকে ছোট ছোট বরফের টুকরো, যাকে বাঙালিরা বলি শিল। একে শিলাবৃষ্টি বলা হয়। কখনও কখনও ছোট ছোট শিল , আবার কখনও বড় শিল দেখা যায়।

অনেকের মনেই বিস্ময়, কেন শিল পড়ে। গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলে এমন শিলাবৃষ্টি কেন হয়? একটু বিস্তারে বলা যাক। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে যত উপরে ওঠা যায়, ধীরে ধীরে কমে তাপমাত্রা । এবার সেই স্কুলের পাঠ্যে ফিরে যাওয়া যাক।
বৃষ্টি কেন হয়? সূর্যের তাপে সব জলাশয় থেকে জল জলীয়বাষ্পে পরিণত হয়ে উপরের দিকে উঠতে থাকে। এবার যত উপরের দিকে যায় বাতাস ঠান্ডা হতে থাকে। প্রবল শৈত্যে জলীয়বাষ্প ফের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলকণায় পরিণত হয় । তারপর তা বাতাসে থাকা ধূলিকণাকে আশ্রয় করে আকাশে ভেসে বেড়ায় ।
এই সব জলকণা একে অপরের সঙ্গে মিলিত হয়ে বড় বড় কণায় পরিণত হয় । তখন আর সেগুলি নিজেদের ভার ধরে রাখতে পারে না। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে।
কিন্তু শিলাবৃষ্টি কীভাবে হয়। প্রবল ঊর্ধ্বমুখী বায়ুপ্রবাহে কিউমুলোনিম্বাস মেঘের জলকণা আরও ওপরে উঠে বরফকণায় পরিণত হয় এবং প্রবল ঝড়ে মেঘের মধ্যে বরফকণা বারংবার ওঠানামা করতে থাকে বলে বরফকণার গায়ে প্রলেপ পড়ে ।
সেগুলি আকারে বড়ো হয়। ঝড় থেমে গেলে কিংবা বরফকণা আকারে বেশ বড়ো হলে ওই বরফের টুকরো বৃষ্টির সঙ্গে মাটিতে আছড়ে পড়ে। একেই বলে শিলাবৃষ্টি। আমাদের রাজ্যে কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে শিলাবৃষ্টি হয়।
চৈত্র - বৈশাখের বিকেলে এমন শিলাবৃষ্টি হয়। এর ফলে ফসলের ক্ষতিও হয় অনেক সময়। তবে প্রবল গরমের পর শিলাবৃষ্টি খানিক স্বস্তি তো বটেই।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -