Success Story: কেরোসিনের আলোয় পড়েই সফল IAS, অভাব কাটিয়েও নজির গড়েছে অংশুমানের লড়াই

IAS Anshuman Raj: বিহারে রাস্তাঘাট ভাল ছিল না, বিদ্যুৎ ছিল না বহু গ্রামে। বক্সার জেলার নওয়ানগড় জেলার স্কুলে পড়াশোনা করেছেন তিনি। দিনের বেশিরভাগ সময় আলো না আসায় কেরোসিনের আলোতেই পড়তে হয়েছে অংশুমানকে।

অংশুমান রাজের লড়াইয়ের কাহিনি

বিহারে জন্ম ও বড় হয়ে ওঠা অংশুমানের। ছোটবেলা থেকেই প্রবল দারিদ্র্যের মধ্যে কেটেছে জীবন। কিন্তু শুধু অর্থ উপার্জনের তাগিদে ইউপিএসসি দেননি তিনি। বিহারের বহু ছেলে-মেয়ে ইউপিএসসি পরীক্ষা দিয়ে সফলভাবে আইএএস কিংবা আইপিএস হয়েছেন। এত বড় স্বপ্ন দেখতেই পারতেন না অংশুমান। ছবি- ইনস্টাগ্রাম

যে পরিবারে বড় হয়ে ওঠা তাঁর, সেখানে নিত্যদিনের সংসার নির্বাহ করাটাই ছিল কঠিন। সেখানে আইএএস হবেন ভাবেননি কখনও অংশুমান। ছবি- ইনস্টাগ্রাম

বিহারে রাস্তাঘাট ভাল ছিল না, বিদ্যুৎ ছিল না বহু গ্রামে। বক্সার জেলার নওয়ানগড় জেলার স্কুলে পড়াশোনা করেছেন তিনি। ছবি- ইনস্টাগ্রাম

সেই সময় দিনের মাত্র ৩-৪ ঘণ্টা সময়ই আলো আসত তাদের বাড়িতে। ফলে দিনের বাকি সময় কেরোসিনের আলো জ্বেলেই পড়তে হয়েছে তাঁকে। ছবি- ইনস্টাগ্রাম

অংশুমানের মা স্কুলের আংশিক সময়ের শিক্ষিকা ছিলেন। তাছাড়া স্কুল থেকে ফিরে একটি বিউটি পার্লার চালাতেন তিনি। স্কুল থেকে পেতেন মাত্র ১৫০০ টাকা বেতন, বিউটি পার্লার চালিয়ে খুব কষ্টেই দিন চলত অংশুমানদের। ছবি- ইনস্টাগ্রাম

অংশুমানের বাবা লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন আর তারপরেই বাধ্য হয়ে সংসারের হাল ধরতে হয় তাঁর মাকে। ছবি- ইনস্টাগ্রাম

২০১৩ সালে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ শুরু করেন অংশুমান। কোচিং নেওয়ার সামর্থ্য ছিল না। কাজের মধ্যে পেতেন ৬ মাস ছুটি। এই সময় ভাইয়ের কাছে এসে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতেন অংশুমান। বাড়িতেও তাদের সেভাবে পড়াশোনার জায়গা ছিল না। ছবি- ইনস্টাগ্রাম

২০১৬ সালে প্রথম ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রিলিমসে উত্তীর্ণ হন তিনি। ২০১৭ সালে মেইনসে উত্তীর্ণ হলেও ইন্টারভিউতে আটকে যান। ছবি- ইনস্টাগ্রাম

তবে হাল ছাড়েননি। ২০১৮ সালে আবার পরীক্ষায় বসে সম্পূর্ণ ধাপ উত্তীর্ণ হন অংশুমান রাজ। প্রথমে পান IRS-এর দায়িত্ব। ছবি- ইনস্টাগ্রাম

কিন্তু অংশুমানের ইচ্ছে ছিল IAS হওয়ার, তাই ২০১৯ সালে ফের একবার ইউপিএসসি দিয়ে সফলভাবে IAS অফিসার হন অংশুমান রাজ। ছবি- ইনস্টাগ্রাম