Abhijit Gangopadhyay: পদ্মশিবিরে যোগ দিয়েই রাজ্য থেকে TMC-কে উৎখাতের ডাক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির
বিচারপতির পদ থেকে সরে এবার রাজনীতির আঙিনায় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি থেকে বিজেপি নেতা হয়েই এবার রাজ্য থেকে তৃণমূলকে উৎখাতের হুঙ্কার দিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। আরও চাঁছাছোলা ভাবে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appদলে যোগ দিয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'আমাদের প্রথম উদ্দেশ্য হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে একটা দুর্নীতিগ্রস্ত দলের এবং একটা দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের বিদায়ের, বিদায় লগ্নের সূচনা করে দেওয়া এই লোকসভা ভোটে। যাতে ২০২৬-এ তারা আর ক্ষমতায় আসতে না পারে।'
এদিন বিজেপি নেতা ও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় বলেন, 'একজন বাঙালি হিসেবে আমি অত্যন্ত কষ্ট পাই যখন দেখি যে বাংলা ক্রমাগত পিছিয়ে পড়ছে। আর পিছিয়ে পড়ছে। তাই আমি সর্বভারতীয় দলে যোগ দিয়েছি। যেখান থেকে এই দুর্নীতিগ্রস্ত দল এবং দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার এদের বিরুদ্ধে একটা ভয়ঙ্কর লড়াই শুরু করা যায়। এবং একটা সিরিয়াস লড়াই শুরু করা যায়।'
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'এর ফলে বাংলা থেকে পরিবারবাদী ভ্রষ্টাচারী এবং তোষণকারী পিসিভাইপোর সরকারকে উৎখাত করার প্রথম সোপান হিসেবে লোকসভা নির্বাচনে আমরা এই বাংলায় পরিবর্তনের আসল পরিবর্তনের ডঙ্কাটা বাজাতে পারব। তার কিন্তু কাজ করার সুযোগ গত কয়েকমাস আগে কার্যত কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। তার সেই লড়াইয়ের ক্ষেত্রে তিনি তাঁর বৃহত্তর প্ল্য়াটফর্ম খুঁজে নিয়েছেন।'
এদিন দলে যোগ দিয়েই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'আজ একেবারে নতুন জগতে পা দিলাম। এই সর্বভারতীয় দলে মহান নেতা নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহরা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী, মঙ্গল পান্জেজি, সুকান্তদার পরামর্শ আমার লাগবে।'
দলের শৃঙ্খলাবদ্ধ সৈনিক হিসেবে কাজ করতে চাই। যে দায়িত্ব আমায় দল থেকে দেওয়া হোক না কেন তা পালন করতে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং তা পালন করব। আমাদের প্রথম উদ্দেশ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে একটা দুর্নীতিগ্রস্ত দল ও একটা দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের বিদায়লগ্নের সূচনা করে দেওয়া এই লোকসভা ভোটেই। যাতে ২০২৬ এর ভোটে তারা আর ক্ষমতায় আসতে না পারে। বাংলায় বিজেপির ক্ষমতায় আসা খুব দরকার। বাংলার প্রয়োজনে। বাঙালি হিসেবে খুব কষ্ট পাই যখন দেখি বাংলা ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে।'
এদিন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের যোগ দেওয়ার অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজ্য বিজেপি একাধিক নেতা, ছিলেন এ রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মঙ্গল পান্ডে। এদিন উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল, সজল ঘোষ, কৌস্তভ বাগচি-সহ অনেকেই।
রাজ্য থেকে তৃণমূল সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়েছেন শুভেন্দুও। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সম্পর্কে শুভেন্দু বলেন, 'রাজ্যের সাধারণ মানুষকে মেরুদণ্ড সোজা রেখে লড়াই করতে শেখানো ব্যক্তি, আপসহীন সংগ্রামী মানসিকতা নিয়ে সর্বস্তরের যুবকদের জন্য তাঁর সরব কণ্ঠ শোনা গিয়েছে। নতুন করে পরিচয় দেওয়ার প্রয়োজন নেই। অগাস্ট মাসে অবসরগ্রহণের কথা ছিল। তার আগে মোদিজির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বিচারপতি পদ থেকে পদত্যাগ করে আমাদের পরিবারে যুক্ত হচ্ছেন। ওঁকে স্বাগত জানাই।'
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা নাগাদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সল্টেলেকের বাড়িতে পৌঁছে যান বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল ও বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। তাঁরাই তাঁকে নিয়ে আসেন সল্টলেকের রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে।
বিজেপির অফিসে পৌঁছনোর পরে শঙ্খ বাজিয়ে স্বাগত জানানো হয় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। তাঁকে দেখে পুষ্পবৃষ্টিও করেন বিজেপি সমর্থকরা।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -