Boyal Election Violence: ভোটের দিন নন্দীগ্রামে ধুন্ধুমার দিনভর
যুযুধান দু’পক্ষের মাঝখানে মানব প্রাচীর হওয়ার চেষ্টা কেন্দ্রীয় বাহিনী জওয়ান ও পুলিশ কর্মীদের। একদিকে বিজেপির কর্মীরা। মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান। অন্যদিকে, বিক্ষোভ তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের! মুখে, খেলা হবে স্লোগান!
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appএদিন সকাল থেকে রেয়াপাড়ার বাড়িতে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামের বয়ালের ৭ নম্বর বুথে পোলিং এজেন্টকে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগে সকাল থেকে সরব হয় তৃণমূল। এই খবর দেখার পর এবং তাঁর নির্বাচনী এজেন্টের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর, দুপুরের দিকে বের হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ালে পৌঁছতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।
তৃণমূলের অভিযোগ, অবাধে ছাপ্পাভোট চালিয়েছে বিজেপি। এজেন্ট ঢুকতে দেয়নি বলেও অভিযোগ। এক তৃণমূলকর্মী বলেন, আমাদের এজেন্ট বসতে দেয়নি। পেপার ছিঁড়ে দিয়েছে, আমি পাশের বুথ থেকে এসেছি, ফর্মফিলআপ করে এসেছি। আমাদের বসতে দিচ্ছে না।
মমতাকে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, নন্দীগ্রামের ভোটারদের উনি অপমান করছে। এতক্ষণ বুথে কেন ছিলেন উনি? পাল্টা মমতা বলেন, নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী অসভ্যতা করেছে।
যে স্কুলে বুথ, তাঁর বারান্দায় তখন হুইলচেয়ারে বসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাইরে চরম বিক্ষোভ। বিক্ষোভরত তৃণমূল ও বিজেপির কর্মীদের সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী!
দু’দলের কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরস্পরকে লক্ষ্য করে চলে ইটবৃষ্টি। বাঁশ হাতে বেরিয়ে আসেন অনেকেই! পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে মাঠে নামতে হয় আইপিএস অফিসারদের।
এক তৃণমূলকর্মী বলেন, হার্মাদরা অস্ত্র ব্যবহার করবে, ওরা বের করলে, আমরাও করব। মমতা বলেন, সব বাইরের লোক, গুন্ডা। বাংলা বলতে পারে না। আউটসাইডার। বিহার-ইউপি থেকে এনেছে। এদের রক্ষা করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
পাল্টা বিজেপির অভিযোগ একজন প্রার্থী এতক্ষণ কেন থাকবেন? শুভেন্দু বলেন, কম্পিটিশন আছে তাই অভিযোগ, ৭০ শতাংশ ভোট হওয়ার বপর প্রার্থী বের হচ্ছেন। জয় শ্রীরামের ভয়।
বয়ালের বুথ থেকেই ফোনে রাজ্যপালের কাছে ভোটলুঠের অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে দিল্লি থেকে হস্তক্ষেপ করে নির্বাচন কমিশন। এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলতে আসেন নন্দীগ্রাম থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার ও কমিশনের পর্যবেক্ষক। নন্দীগ্রামের ওসির কাছে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
প্রায় দু’ঘণ্টা পর বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে কোনওক্রমে বয়ালের স্কুল থেকে বের করে আনা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী বলেন, ইলেকশন কমিশন চালাচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নির্দেশ দিচ্ছে। ইলেকশন কমিশন চুপ করে রয়েছে।
বয়ালের স্কুল থেকে বেরিয়ে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের পার্টি অফিসে পৌঁছে বৈঠকে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই বয়ালে পৌঁছন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই বিজেপি প্রার্থী দাবি করেন, বেগমের এখান থেকে জেতা হচ্ছে না। হারছে। একটা প্রার্থী দুটোয় বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে। সব মিলিয়ে দিনভর ধুন্ধুমার নন্দীগ্রামে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -