Khela Hobe sweets: ‘খেলা হবে’, ‘টুম্পা সোনা’ মিষ্টিতেও

বিধানসভা ভোটের আবহে রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক স্লোগান, দেওয়াল লিখন, ব্যানার, পোস্টার দেখা যাচ্ছে। পিছিয়ে নেই সাধারণ মানুষও। বিয়েবাড়িতেও শোনা যাচ্ছে ‘খেলা হবে’ বা ‘টুম্পা সোনা’ গান। এমনকী, মিষ্টিতেও রাজনীতির প্রভাব দেখা যাচ্ছে।- প্রতিবেদন ও ছবি- সুদীপ চক্রবর্তী

বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠানে মিষ্টিতে অভিনবত্বের ছোঁয়া দেখা যায়। গণতন্ত্রের উৎসবও ব্যতিক্রম নয়। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের একটি মিষ্টির দোকানে এমনই সব অভিনব মিষ্টি দেখা যাচ্ছে।

এই দোকানের মালিক ও কর্মীরা জানিয়েছেন, তাঁরা দুর্গাপুজো, বিজয়া দশমী, দীপাবলি, ভাই ফোঁটা বা রাখির সময় অভিনব মিষ্টি তৈরি করেন। এবার ভোট-উৎসবের সময়ও রাজনৈতিক স্লোগান লেখা মিষ্টি তৈরি করেছেন।

এই দোকানে ‘খেলা হবে’, ‘টুম্পা সোনা’, ‘সোনার বাংলা’ লেখা মিষ্টি পাওয়া যাচ্ছে। বহু মানুষ এসব মিষ্টি কিনছেন এবং খাচ্ছেন।

রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের মতো রায়গঞ্জের মানুষও মিষ্টি ভালবাসেন। এবার তাঁদের প্রিয় খাবারে মজার রাজনৈতিক স্লোগান দেখে সবাই খুশি।

সুচন্দ্রা সরকার নামে এক মিষ্টিপ্রেমী জানিয়েছেন, তিনি বহুদিন ধরেই এই দোকান থেকে মিষ্টি কিনছেন। আগেও অভিনব মিষ্টি দেখেছেন। এবার রাজনৈতিক স্লোগান লেখা মিষ্টি পেয়ে তিনি খুশি।

সইফুর রহমান নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, সকালে চশমার দোকান খুলতে একটু দেরি আছে দেখে তিনি মিষ্টির দোকানে জলযোগ সারতে আসেন। তিনি ‘খেলা হবে’ ও ‘সোনার বাংলা’ লেখা মিষ্টি খেলেন।

সইফুর আরও বললেন, ‘আমরা যে যাই রাজনীতি করি না কেন, মিষ্টি তো সব বাঙালিরই প্রিয়। তাই ভোটের আবহে এই রাজনৈতিক স্লোগানে ভরা মিষ্টিমুখ করতে ভালই লাগছে।’

বিক্রেতা অরিজিৎ চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘ভোট হল গণতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ উৎসব। তাকে স্বাগত জানাতে এবং ভোটের আবহে মানুষের কাছে ভিন্নস্বাদ পাইয়ে দিতে আমাদের এই উদ্যোগ। আমরা ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।’

অরিজিৎ আরও জানিয়েছেন, এই মিষ্টির দাম আমরা সাধ্যের মধ্যেই রেখেছি। সব ধরনের মিষ্টির দামই ১০ টাকা করে। সব ছবি-সুদীপ চক্রবর্তী