Tripura Election 2023: ঝোড়ো প্রচারের পরে ভোটের দিন উপচে পড়ল ভিড়, কাকে ভরসা ত্রিপুরার?
ভোট ঘোষণা হতেই চড়েছিল উত্তেজনার পারদ। শাসক বিজেপি ও বিরোধী সিপিএম-এর মধ্যে তুঙ্গে উঠেছিল বাগযুদ্ধ। এই বছর নানা জট কাটিয়ে অবশেষে হাত মিলিয়েছে বাম ও কংগ্রেস। অন্যদিকে এবার ত্রিপুরায় বিশেষ ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে তিপ্রা মথা, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। পাশাপাশি এবার উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে কোমর বেঁধে নেমেছিল তৃণমূল।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appবিজেপি-কংগ্রেস-সিপিএম থেকে তৃণমূল। সব দলেরই হেভিওয়েটরা প্রচার করেছেন এই রাজ্যে। অমিত শাহ ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একই দিনে পৌঁছেছিলেন ত্রিপুরায়। একদিকে অমিত শাহ, নরেন্গ্র মোদি- অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঝোড়ো প্রচার চলেছে ত্রিপুরায়। চড়েছে বক্তব্যের পারদও। বাংলার উন্নয়নের একাধিক উদাহরণ সামনে রেখে ত্রিপুরায় প্রচার চালিয়েছে তৃণমূল। ত্রিপুরায় জিতলে বাংলার মতোই একাধিক সামাজিক প্রকল্প চালুর বার্তাও দেওয়া হয়েছিল প্রচারে। খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও দিয়েছিলেন আশ্বাস।
ভোট প্রচারের সময় থেকেই বারবার নানা জায়গা থেকে হিংসার ঘটনার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি সেই অভিযোগ উঠেছে ভোটের দিনেও। এদিনও ত্রিপুরায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির অভিযোগ উঠেছে। গোমতী জেলার কাঁকড়াবন-শালগড়া বিধানসভা কেন্দ্রে সিপিএমের দুই পোলিং এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক শিবির।
পুরনো আগরতলার খয়েরপুর বিধানসভা কেন্দ্রের নাথপাড়ায় ভোটারদের বাধা, লাঠি দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। নাথপাড়া এলাকার একটি বুথের ঘটনা। অন্যদিকে, শান্তিরবাজার বিধানসভার কালাছড়াতেও গন্ডগোল বাধে। অভিযোগ, বিজেপির হাতে আক্রান্ত হন দুই সিপিএম কর্মী। শান্তিরবাজার নিয়ে গতকালই জাতীয় নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিল বামেরা। দুটি ক্ষেত্রেই হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
ধনপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ভবানীপুর ও দুর্লভপুরে ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে পথ অবরোধ করেন ভোটাররা। পরে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী তাঁদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যায়। গন্ডগোলের দায় বাম-কংগ্রেসের ঘাড়ে চাপিয়েছে গেরুয়া শিবির।
বৃহস্পতিবার ভোটের পরে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে ত্রিপুরায় গড়ে ভোটদানের হার শতকরা ৮০ শতাংশের উপরে। ত্রিপুরায় মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, বড়সড় কোনও হিংসা ঘটনা ঘটেনি। কোনও প্রার্থীর উপর বা কোনও প্রার্থীর পোলিং এজেন্টের উপর হামলার কোনও ঘটনা ঘটেনি। ভোটারদের ভয় দেখানোরও কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বোমা ছোড়া, ইভিএম- নষ্ট করার মতো ঘটনাও ঘটেনি বলে জানানো হয়েছে।
যে ভোটাররা ৪টার আগে ভোট দেওয়ার লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁদের ৬টা বেজে গেলেও ভোট দিতে দেওয়া হয়েছে। পিটিআইকে অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ইউ জে মোগ জানিয়েছিলেন, বিকেল ৪টা পর্যন্ত সারা ত্রিপুরায় গড়ে ৮১.১১ শতাংশ ভোট পড়েছে। সেই সময়ে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন বহু লোক।
কয়েকটি জায়গায় ইভিএম খারাপ হওয়ার অভিযোগ এসেছে। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, মোটামুটি ৪০-৪৫টি আসনে ইভিএম মেশিন নষ্ট হওয়ার খবর মিলেছে। সেগুলি পাল্টে দেওয়া হয়েছে, ভোট প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়নি।
ত্রিপুরার ৬০টি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন বিভিন্ন দলের মোট ২৫৯ জন প্রার্থী। মোট বুথের সংখ্যা ৩ হাজার ৩৩৭। এর মধ্যে স্পর্শকাতর ও অতিস্পর্শকাতর মিলিয়ে বুথপ্রায় ১১০০টি। ভোট নিরাপত্তায় নেমেছিল ৪০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী (CISF)। বুথের বাইরে এবং এলাকার নিরাপত্তা দেখেছে রাজ্য পুলিশ (Police)। ভোটের ফল পাওয়া যাবে ২ মার্চ। ছবি: PTI
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -