কনৌজ পরিবারে বিয়ে, করবা চৌথে সঙ্গীতের জন্য নববধূর বেশে সাজলেন বাঙালি সঞ্চারী
সারাদিন উপোস, চাঁদ উঠলে পুজো, তারপর স্বামীর মুখ দেখে উপোস ভাঙা। ছবির পর্দায় এই রীতি দেখে অনেক বাঙালি অবিবাহিত মেয়েই মনে মনে ভেবেছেন.. যদি এমন করে করবা চৌথ পালন করতে পারতাম! বিয়ের পর সেই স্বপ্নপূরণ হয়েছে অভিনেত্রী সঞ্চারী মণ্ডলের। সঙ্গীত তিওয়ারীর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন তিনি। কেমন হল বাঙালি এই কন্যের প্রথম জাঁকজকম করে কাটানো করবা চৌথ?
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appবিয়ের পর এই দ্বিতীয় বছর করবা চৌথ পালন করছেন সঞ্চারী। প্রথম বছর করোনা পরিস্থিতির জন্য কেবল নিয়মটুকু করা হয়েছিল। তবে এই বছর মহা সমারোহে দিনটা পালন করলেন সঞ্চারী-সঙ্গীত।
করবা চৌথের জন্য আগের দিনই মেহেন্দি পরেছিলেন সঞ্চারী। একেবারে বিয়ের মতই নিয়ম পালন করতে হয়। সকালে পুজো, তারপর গোটা দিনের উপোস।
কেবল তাই নয়, রীতিমতো তত্ত্ব সাজানো হয় এই দিনটার জন্য। সূর্য ওঠার আগেই খাওয়া দাওয়া শেষ করে নিতে হয় গৃহিনীকে।
এরপর সারাদিনের উপোস ও পুজো চলে। সঞ্চারী একটু ভয়েই ছিলেন, সমস্ত নিয়ম ঠিক মতো পালন করতে পারবেন তো? কিন্তু সঙ্গী সঙ্গীত, নিয়মে কী ভুল হতে পারে?
রীতি মেনে পালন হল সমস্ত নিয়ম। সারাদিন উপোসের পর চাঁদ উঠলে প্রদীপ জ্বেলে সঙ্গীতের মুখ দেখেন সঞ্চারী।
এরপর সঙ্গীতের হাতে খাবার খেয়েই উপোস ভাঙেন। সমস্ত নিয়ম পালন করে সঙ্গীতও।
এই বিশেষ দিনের জন্য নিজেকে একেবারে বিয়ের কনের মত করে সাজিয়ে তুলেছিলেন সঞ্চারী।
ভারি গয়না, মেহেন্দি আর লাল পোশাকে একেবারে নববধূর মতোই দেখাচ্ছিল সঞ্চারীকে। অন্যদিকে লাল হলুদের সমন্বয়ে পোশাক বেছেছিলেন সঙ্গীত।
আপাতত স্টার জলসার নতুন শো 'গোলেমালে গোল'-এর পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন সঙ্গীত।
সদ্য ধারাবাহিকের কাজ শেষ করেছেন সঞ্চারী। ব্যস্ত শিডিউল থেকে সময় বের করে সম্প্রতি একসঙ্গে ডুয়ার্স ঘুরতে গিয়েছিলেন এই জুটি।
কনৌজ পরিবারের সব নিয়ম মেনে করবা চৌথ পালন করলেন বাঙালি অভিনেত্রী সঞ্চারী মন্ডল। সঙ্গীত তিওয়ারীর সঙ্গে ফের যেন একবার বাঁধা পড়লেন প্রেমের বন্ধনে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -