Angana Roy about Durga Puja: ছোটবেলার পুজোর স্মৃতি মনখারাপ করায়, কলকাতায় কখনও ভাসান দেখা হয়নি অঙ্গনার
ছোটবেলার পুজো কেটেছে শহর কলকাতার বুকে নয়, আসানসোলে। পাড়ার ক্লাবের পুজোয় প্রেসিডেন্স ছিলেন দাদু আর ভাইস প্রেসিডেন্ট ঠাকুমা। গোটা পুজো কাটত পাড়ায় পাড়ায় ঠাকুর দেখে, মিউজ়িক্যাল চেয়ার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আর পুজোর কাজে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appএখন খ্যাতি বেড়েছে... বদলে গিয়েছে পুজোর আনন্দও। আর এবারের পুজোয় তিনি ছুটি পাবেন কি না... সেই নিয়ে পর্যন্ত সন্দেহ থেকে যাচ্ছে? কিন্তু তার মধ্যেও থেমে থাকে না পুজোর পরিকল্পনা। হাজার হোক.. বাঙালি তো! এবিপি লাইভের (ABP Live) সঙ্গে দুর্গাপুজোর পরিকল্পনা ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রী অঙ্গনা রায় (Angana Roy)।
পুজো মানেই তো নতুন জামা, কেনাকাটা। সেই দৌড়ে কতটা এগিয়ে অঙ্গনা? অভিনেত্রী বলছেন, 'এবার পুজোয় ঠিক করেছি, শুধুই শাড়ি পরব। আমার এক বন্ধুর প্রদর্শনীতে গিয়েছিলাম সদ্য। দুর্দান্ত সব শাড়ির কালেকশন ছিল। ওখান থেকেই অনেকগুলো কিনে ফেলেছি
অঙ্গনা বলছেন, 'পরিবারের জন্য তো কেনাকাটা হয়েছেই। বাবা প্রত্যেক বছর পুজোয় নতুন পোশাক নিতে চান না, তবে বাবা-মাকে জোর করেই নতুন জামাকাপড় কিনে দিয়েছি। আর প্রত্যেক বছর যেটা করি, এবারও তার অন্যথা হবে না। সেটা হল, দাদুকে সাদা ধুতি-পাঞ্জাবি কিনে দিই অষ্টমীতে পরার জন্য।'
সামনের সপ্তাহ থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে, অভিনেত্রীর নতুন ধারাবাহিকের শ্যুটিং। ফলে পুজোর মরসুমে জোরকদমে শ্যুটিং চলার কথা। অভিনেত্রী বলছেন, 'এবার পুজোয় যদি কয়েকটা দিনও ছুটি পাই, ইচ্ছা আছে কলকাতার আশেপাশে একটু ঘুরে আসব।
অঙ্গনা বলছেন, 'ধারাবাহিকের চাপ সামলে এরপরে আর ঘুরতে যাওয়া হবে না। বাকি দিনগুলো পরিবার আর বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাব, প্যান্ডেল হপিং করার সুযোগ আর কোথায়? আবাসনের পুজোতেই অঞ্জলি দেব।''
পুজোয় বাঙালি ডায়েট ভোলে, অভিনেত্রীও কী তাই? অঙ্গনা বলছেন, 'পুজোর সময় খুব একটা উল্টো পাল্টা খাওয়া পছন্দ নয় আমার। তবে দুটো জিনিসে কোনও নিয়ম নেই। ভোগের খিচুড়ি আর ফুচকা।'
অঙ্গনা বলছেন, 'অষ্টমীর ভোগের স্বাদই আলাদা। আর ইইডিএফ বা দক্ষিণাপণের সামনের ফুচকা... এগুলো পুজোয় মিস করা চলে না। কিন্তু এর বাইরে খুব একটা উল্টোপাল্টা খাওয়া পছন্দ করি না।'
ছোটবেলার পুজো কাটত আসানসোলে। অভিনেত্রী বলছেন, 'ছোটবেলার পুজোর কথা মনে পড়লেই এখনও মনখারাপ হয়। আসানসোলের পুজোয় যে আত্মীয়তা ছিল, কলকাতায় তা পাই না। '
অঙ্গনা বলছেন, 'বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরে ঘুরে ঠাকুর দেখা, পাড়ার মঞ্চে মিউজ়িক্যাল চেয়ার আর দশমীর দিন মায়ের সঙ্গে নাচতে নাচতে ভাসানে যাওয়া। কলকাতায় তো কোনোদিন ভাসানে যেতেই পারলাম না। এখন পুজোয় আনন্দ করলেও, ছোটবেলার সেই আমেজটা বদলে গিয়েছে।'
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -