Anirban Bhattacharyya: কেক কেটে মিষ্টিমুখ, রূপকথার সাফল্য উদযাপন করতে দর্শকদের কাছে হাজির অনির্বাণ
সাফল্যের ৭৫ দিন। কেক কেটে 'বল্লভপুরের রূপকথা'-কে উদযাপন করলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য্য ও ছবির কলাকুশলীরা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appছবির পোস্টারেই ছিল, 'সপরিবারে দেখার ছায়া ছবি'। 'বল্লভপুরের রূপকথা' (Ballavpurer Rupkotha) ৭৫ দিনের সফর পার করল যেন সেই ম্যাজিকে ভর করেই।
যে ছবির হাত ধরে বড়পর্দায় পা রাখলেন পরিচালক অনির্বাণ ভট্টাচার্য (Anirban Bhattacharyya), সেই ছবিই তৈরি করল রূপকথা।
৭৫ দিনেও প্রেক্ষাগৃহ ভর্তি দর্শক দেখে উচ্ছ্বসিত পরিচালক। এবিপি লাইভের মুখোমুখি হয়ে ক্যামেরার পিছনের গল্প করলেন 'রূপকথা'-র রূপকার।
একসময় সপরিবারে বা ছোটদের সঙ্গে দেখার ছবি বলতে ছিল 'গুপি গাইন বাঘা বাইন', 'হীরক রাজার দেশে' বা 'সাড়ে চুয়াত্তর'। এখন সপরিবারে দেখার মতো ছবি কম হচ্ছে বলে মনে হয় পরিচালকের? তাই কী 'বল্লভপুরের রূপকথা'-র অবতারণা?
অনির্বাণ বলছেন, 'পারিবারিক গল্প কমে যাচ্ছে বলে আমি মনে করি না। কিন্তু আমাদের মনে হয়েছিল, বল্লভপুরের রূপকথা ভীষণ অন্যরকমের একটা ছবি। বাদল সরকারের নাটকটার মধ্যেই সেই বিষয়টা ছিল। তবে বাদলবাবুর নাটক হলেও, এটা ভীষণ হালকা ধরণের গল্প। এর মধ্যে কোনও গুঢ়্য কথা হচ্ছে না। তবে যেহেতু বাদলবাবুর নাটক, সেখানে একেবারেই কোনও রূপকের ব্যবহার নেই তা বলা যায় না। কিন্তু বল্লভপুরের রূপকথায় সেটাকে বেশি জোর দেওয়া হয়নি চিত্রনাট্যের ক্ষেত্রেও তাই। 'বল্লভপুরের রূপকথা'-একটা ভীষণ প্রাণখোলা নাটক। এটা হরর কমেডি নয়, একটা নিপাট, দরাজ, দিলখোলা কমেডি ছবি। কাজটা দর্শকদের ভাল লেগেছে, দেখেছেন, ব্যাস এটুকুই।'
রূপকথার ৭৫ দিনটা কেমন ছিল? একটু হেসে অনির্বাণ বললেন, '৭৫ দিনটা দারুণ.. কিন্তু রূপকথা শুরুর দিনটা .... আমরা সমস্ত কলাকুশলীরা মে মাসের গরমে বাগচী বাড়িতে শ্যুট করেছি। সেই রূপকথাটা অন্যরকম ছিল। স্নান করার জন্য লাল জল, অদ্ভুত আবহাওয়া আর একটা শেষ না একটা ভৌতিক শিডিউল। সেই দিনটার কথা মনে পড়লে ভীষণ অবাক লাগছে। আজকের দিনটাকে রূপকথা বলব নাকি সেই দিনটাকে রূপকথা বলব.. দুঃস্বপ্নের রূপকথা, জানি না।'
দুঃস্বপ্ন? অনির্বাণ বললেন, 'হ্যাঁ.. শিডিউল শেষ হচ্ছিল না। সেটা দুঃস্বপ্নের মতোই। আমাদের সহকারী পরিচালকেরা একটা কথা বলেছিলেন, ওই বাড়িতে নাকি কিছু একটা সমস্যা রয়েছে। সত্যিই তাই। বাড়ির বাইরে আমাদের যা যা লোকেশন ছিল, সব জায়গায় বেরোতাম, চটপট শ্যুটিং মিটিয়ে ফিরে আসতাম। কিন্তু ওই বাড়ির হলঘরের শ্যুটিং যেন আর শেষ হতে চাইত না। শেষমেশ আজ এসে সেই দিনটার কথা ভাবলে ভালো লাগছে।'
৭৫ দিনের সেরা প্রশংসা কোনটা ছিল? অনির্বাণ বলছেন, 'অনেকেই নিজেদের ভাল লাগার কথা জানিয়েছেন। তবে আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমার ছবি সঙ্গে যুক্ত এমন কিছু মানুষের মতামত, যাঁরা বাংলা জানেন না। যেমন অমিত কুমার বা খুব বিখ্যাত পরিচালক রবি কিনাগি। এমন কিছু মানুষ আমার ছবিটা দেখে ভীষণ উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছিলেন। সেটা আমার ভীষণ ভাল লেগেছিল। মনে হয়েছিল, ভাষার গন্ডি পেরিয়ে ছবি যেন কথা বলতে পারছে।'
'বল্লভপুরের রূপকথা'-য় তুলনামূলক ছোট হলেও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুমন্ত। ছবির অফার আসা থেকে শুরু করে বল্লভপুরের রূপকথার সফর, কেমন ছিল সুমন্তর কাছে? এবিপি লাইভের প্রশ্নের উত্তরে অভিনেতা বললেন, 'অনির্বাণের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের আলাপ। একসঙ্গে থিয়েটারে কাজও করেছি। বল্লভপুরের রূপকথার ৭৫তম দিনে দাঁড়িয়ে ভীষণ ভাল লাগছে। অভিনেতা হিসেবে দর্শকদের ভালবাসা পাচ্ছি। অনির্বাণ এই চরিত্রটার জন্য আমায় ডেকেছে এটা বিশাল পাওনা আমার কাছে। অনির্বাণ ভাল অভিনেতা তো বটেই, তবে একজন অভিনেতাকে ও খুব ভাল পথপ্রদর্শন করতে পারে। সেটা আমার ভীষণ কাজে লেগেছে। অভিনয়ের ক্ষেত্রে যেমন ওঁর নির্দেশ মেনেছি, তেমনই নিজের যা যা মনে হয়েছে ওকে বলেছি। অভিনেতাকে অনির্বাণ ব্যক্তিগত জায়গা দিতে জানে।'
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -