Arshad Warsi: ১৪ বছরেই অনাথ, কোন অভিনেত্রীর হাত ধরে বলিউডে আসেন আরশাদ ওয়ার্সি?
বলিউড অভিনেতা আরশাদ ওয়ার্সি। কমেডি থেকে সিরিয়াস, নানারকমের চরিত্রতেই নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে পারেন তিনি। আর তাই খুব সহজেই নিজেকে দর্শকের পছন্দের অভিনেতা করে নিয়েছেন।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appবলিউড অভিনেতা আরশাদ ওয়ার্সিকে আমরা বহু ছবিতেই কমেডি চরিত্রে অভিনয় করতে দেখেছি। মানুষকে হাসালেও, তাঁর ছোটবেলা কেটেছে বেশ ওঠাপড়ায়। যা চোখে জল আনবে অনুরাগীদের।
বেশ কিছু সাক্ষাৎকারে বলিউড অভিনেতা আরশাদ ওয়ার্সি বলেছিলেন যে, তিনি কিছুতেই সেই সমস্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে নিজেকে মেলাতে পারেন না, যাঁরা বলেন তাঁরা বাবা-মাকে ছাড়া বাঁচতে পারবেন না। কথাটা খুব রুঢ় শোনালেও, আরশাদ ওয়ার্সির ছেলেবেলার গল্প অত্যন্ত বেদনাদায়ক।
জানা যায়, মাত্র ৮ বছর বয়স থেকেই বোর্ডিং স্কুলে থেকে পড়াশোনা করতেন আরশাদ ওয়ার্সি। বছরে একবার কি দুবার বাড়িতে আসতেন। বেশ কিছু সাক্ষাৎকারে তিনি জানান যে, তাঁর ছুটির দিন বহু সময়ই তাঁর বাবা-মা ভুলে যেতেন। তাই স্কুলের অন্যান্যরা যখন নিজের নিজের বাড়ি চলে যেত, তাঁকে কাটাতে হত স্কুলেই। বহু সময় নিজেই নিজেকে চিঠি লিখতেন। আর বন্ধুদের বলতেন সেই চিঠি তাঁকে পোস্ট করে দেওয়ার জন্য।
স্কুলজীবনে জিমন্যাস্ট হওয়ার খুব ইচ্ছা ছিল আরশাদ ওয়ার্সির। ৯ বছর বয়সে জিমন্যাস্ট হওয়ার ট্রেনিং নিতে যখন তাঁকে তাঁর বাবা রাজি হননি, তখন তিনি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন। স্বচ্ছল পরিবারের সন্তান ছিলেন তিনি। কিন্তু ১৪ বছর বয়সেই তাঁর জীবন সম্পূর্ণ বদলে যায়। তাঁর বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর।
বাবার প্রয়াণের পর বাংলো ছেড়ে এক কামরার বাড়িতে এসে উঠতে হয় আরশাদ ওয়ার্সিকে। ক্লাস টেন পর্যন্ত পড়ার পর তাও ছেড়ে দিতে হয়। শুরু হয় বেঁচে থাকার লড়াই। দরজায় দরজায় ঘুরে প্রসাধনী দ্রব্য বিক্রি করতেন তিনি। তারপর কাজ শুরু করেন একটি ফোটো ল্যাবে। সেখান থেকে নানা কিছু করে সুযোগ পান মহেশ ভট্টর সহকারী হিসেবে কাজ করার। 'কাশ' এ 'ঠিকানা' নামের দুটি ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেন তিনি। তাঁর সমস্ত রোজগারই চলে যেত মায়ের ডায়ালিসিসে। এরপর তাঁর মা-ও মারা যান।
অভিনেত্রী জয়া বচ্চনের হাত ধরে বলিউডে পা রাখেন আরশাদ ওয়ার্সি। তার জন্য তিনি সবসময় জয়া বচ্চনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন যে, জয়া বচ্চনই প্রথম ব্যক্তি যিনি বলেছিলেন, দুঃখ ঢাকার জন্য তাঁর কমেডিকে ব্যবহার করার জন্য।
একবার এক কলেজে যখন বিচারক হিসেবে গিয়েছেন আরশাদ, তখন তাঁর দেখা হয় তাঁর স্ত্রী (সেই সময় হবু স্ত্রী) মারিয়া গোরেটির সঙ্গে। তিনি সেখানে প্রতিযোগী ছিলেন। মারিয়ার নাচে এতটাই মুগ্ধ হয়ে যান আরশাদ যে তাঁকে নিজের ডান্স ট্রুপের মুখ্য নৃত্যশিল্পী করতে চান।
'মুন্নাভাই এমবিবিএস', 'লাগে রহো মুন্নাভাই', 'গোলমাল', 'ধামাল', 'জলি এলএলবি' ও আরও অনেক ছবিতে অভিনয় করেছেন আরশাদ ওয়ার্সি। তাঁকে মূলত কমেডি চরিত্রেই দেখা গিয়েছে।
স্পোর্টস বাইকের প্রতি ভালোলাগা রয়েছে অভিনেতার। একাধিক নামী ব্র্যান্ডের বাইকও রয়েছে তাঁর।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -