Bengali Serial Update: শেষ দিনে আবেগে ভাসলেন কমলা-পৃথ্বীরাজের পরিবার, নতুন গল্প শোনাতে আসছেন হিয়া
গুঞ্জনে সীলমোহর পড়েই বন্ধ হচ্ছে ধারাবাহিক কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ। সেই জায়গায় ইতিমধ্যেই নতুন ধারাবাহিকের ঘোষণা করেছে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appসদ্য প্রকাশ্যে এল সেই ধারাবাহিকের প্রোমো ও সম্প্রচারের তারিখ। আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে ধারাবাহিক 'গীতা এল এল বি'।
এই ধারাবাহিকের মুখ্যভূমিকায় দেখা যাবে অভিনেত্রী হিয়া মুখোপাধ্যায় (Hiya Mukherjee)-কে। এর আগে সান বাংলার নয়নতারা ধারাবাহিকে দেখা যেত তাঁকে।
এই ধারাবাহিকে তাঁর বিপরীতে থাকবেন কুণাল সেন। তাঁকেও দেখা যাবে একজন আইনীজীবীর চরিত্রে। এই ধারাবাহিকের নায়িকা গীতার নামকরণ হয়েছে 'ভগবৎ গীতা' থেকে।
আজ শেষবারের মতো সম্প্রচারিত হবে ধারাবাহিক কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ। এই ধারাবাহিকে অভিনয় করেছিলেন শ্রীময়ী চট্টরাজ। আজ ধারাবাহিকের শেষ দিনে একটি আবেগপ্রবণ লম্বা পোস্ট করেন তিনি।
ধারাবাহিকে নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করতেন শ্রীময়ী। আজ তিনি লিখেছেন, ধারাবাহিক ছোট-বড় মিলিয়ে সবাই খুব মজা করে কাজ করতেন তাঁরা। পর্দায় স্পষ্ট হত সেই বন্ধুত্বের গল্পও। শ্রীময়ী লিখেছেন, নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করলেও তা ছিল তাঁর প্রিয়। তিলে তিলে সেই চরিত্রটিকে তৈরি করেছিলেন তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়া আজ সেট থেকে একগুচ্ছ ছবি পোস্ট করেছেন শ্রীময়ী। সেখানে সমস্ত অভিনেতা অভিনেত্রীদের সঙ্গে ছবি শেয়ার করে নিয়েছেন তিনি। এই ধারাবাহিকে তাঁর সঙ্গে অভিনয় করতেন কাঞ্চন মল্লিক। দুজনের একসঙ্গে অভিনয় করার সফরও আপাতত থামছে।
শ্রীময়ী লিখছেন, ধারাবাহিক ছোট-বড় মিলিয়ে সবাই খুব মজা করে কাজ করতেন তাঁরা। পর্দায় স্পষ্ট হত সেই বন্ধুত্বের গল্পও। ধারাবাহিকে নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করতেন শ্রীময়ী। সেই স্মৃতি উস্কে অভিনেত্রী লেখেন, 'আমি এই প্রথম পিরিয়ডিক্যাল ড্রামাতে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলাম।'
শ্রীময়ী আরও লিখছেন, 'সেই অনুভূতিটা আমার কাছে ভীষণ বিশেষ। হয়তো আপনাদের চোখে সুধাময়ী খুব শয়তান, খুব দুষ্টু ,খুব বদমাইশ... কিন্তু সুধাময়ীকে বানানোর সফরটা আমার কাছে শুধু আবেগ নয়, একটা নিজের হাতে করে গড়ে তোলা একটা চরিত্র। অনেক জায়গায় অনুষ্ঠান করতে গিয়ে আমাকে শুনতে হয়েছে ওই তো কুচুটে পিসি এসে গিয়েছে, আর কত শয়তানি করবে ফুলপিসি...... হয়তো ভবিষ্যতে আবারও কাজ করব, কিন্তু সুধাময়ী ডাকটা হয়তো আর শুনতে পাব না। আর তাড়াতাড়ি করে সুধাময়ীর জন্য তৈরি হতে হবে না। সুধাময়ীর লেখা চিত্রনাট্য হাতে পাব না।'
গীতার বাবার ইচ্ছা ছিল, তিনি একজন সফল উকিল হবেন। কিন্তু পরিস্থিতির চাপে তা হয়ে ওঠেনি। সেই নিয়ে সবসময়েই হেনস্থার স্বীকার হতে হয় তাঁকে। গীতার বাবার ইচ্ছা, মেয়েও যেন একজন উকিল হয়। একটি বস্তিতে বেড়ে ওঠে গীতা, সেখানকার মানুষেরাই তার জীবনের অবিচ্ছিন্ন অংশ। গীতার কাঁধেই সমস্ত পরিবারের দায়িত্ব আর গীতা হাসিমুখে সেই সবটাই পালন করে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -