Bhuto : সত্যজিতের সৃষ্টি, ভেন্ট্রিলোকুইজমের জাদু, নাটকপ্রেমীদের মুগ্ধ করছে 'ভূতো'
সত্যজিৎ রায়ের সৃষ্টির নষ্টালজিয়া, সন্দীপ রায়ের পৃষ্ঠপোষকতা, মঞ্চে ইদানিং কালের জনপ্রিয় মুখ পলাশ অধিকারীর ভেন্ট্রিলোকুইজম শিল্পকলার জাদু, বহু থিয়েটার প্রেমীদের হলমুখো করছে। মন কাড়ছে শিশুদেরও।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In App‘ভূতো’ নাটকে মূল চরিত্রে রয়েছেন দুই ভেন্ট্রিলোকুইস্ট পলাশ অধিকারী এবং অভিজিৎ ঘোষ। কিন্তু এ নাটকের নায়ক ভূতোই। দূরদর্শন দেখে যাদের ছোটবেলা কেটেছে, তাদের অনেকেরই আলাপ ছিল কথা বলা পুতুল মাইকেলের সঙ্গে। কিন্তু টানটান দেড়ঘণ্টা ধরে মঞ্চে ভেন্ট্রিলোকুইজম দেখে অভিভূত হচ্ছেন বহু দর্শকই। প্রশংসা আসছে শিল্পীমহল থেকে।
‘কাব্যকলা মনন ও দেবান্তরা আর্টস’এর এই উপস্থাপনা ইতিমধ্যেই প্রশংসা পেয়েছে পরিচালক সন্দীপ রায়ের। কারণ ‘ভূতো’ তাঁরও বড় ভালবাসার নাটক। তাঁরও বহুদিনের ইচ্ছে ছিল এই নাটক মঞ্চে অভিনীত হোক। জানালেন, ভেন্ট্রিলোকুইস্ট পলাশ অধিকারী । নাট্যরূপ দিয়েছেন অন্তরা চট্টোপাধ্যায় ও নির্দেশনা দিয়েছেন সুমিত কুমার রায়।
বিশ্বব্যাপী ভেন্ট্রিলোকুইজমের চর্চা বেশ পুরানো। বিভিন্ন সময় মঞ্চে শো দেখা গিয়েছে। তবে ভেন্ট্রিলোকুইজম নিয়ে আস্ত একটা নাটক মঞ্চস্থ করা বেশ বিরল। ‘ওথেলো’ নাটকের সংলাপও শোনা গিয়েছে কথা বলা পুতুল ‘ভূতো’র মুখে।
সত্যজিতের গল্প নিয়ে হিন্দিতে একটি ছবিও তৈরি করেছিলেন সন্দীপ রায়। তবে এভাবে লম্বা নাটক মঞ্চে উপস্থাপিত হচ্ছে শুনে প্রথম থেকেই উৎসাহ জোগান তিনি। জানালেন পলাশ।
এই গল্প আবর্তিত হয়েছে দুই ভেন্ট্রিলোকুইস্টের টানাপোড়েনকে কেন্দ্র করে। তার সঙ্গে এসেছে নানা রহস্য। অক্রুর চৌধুরীর ভেন্ট্রিলোকুইজম দেখে অভিভূত হন তরুণ জাদুকর নবীন মুন্সী । কিন্তু তাঁকে নিজের বিদ্যায় শেখাতে অস্বীকার করেন অক্রুর।
প্রত্যাখ্যাত হয়েই বাড়ে নবীনের জেদ। তারপর নিজে নিজেই বিদ্যাটি রপ্ত করা। আর নিজের চেষ্টাতেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠা। তারপর দুই প্রজন্মের জনপ্রিয়তার লড়াই, আলোয় থাকার লড়াই এই গল্পকে এক অদ্ভূত জায়গায় নিয়ে গেছে। যেখানে পরতে পরতে তৈরি হবে রহস্য।
মঞ্চে এই টানটান গল্প উপস্থাপনা করা ছিল নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জিং। অভিনয়, সেট, উপস্থাপনা, স্ক্রিপ্ট, সবকিছুর প্রশংসা করে বলল সন্দীপ রায়ের ছবি 'নয়নরহস্য'- এর টিম। পলাশ ও অভিজিতের ভেন্ট্রিলোকুইজমের প্রশংসা করলেন সঙ্গীতশিল্পী সুরজিত, অভিনেতা শুভাশিস মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।
বাংলা থিয়েটারের অঙ্গনে ৫-৬ বছর হল পা রেখেছে 'কাব্যকলা মনন ও দেবান্তরা আর্টস'। কিন্তু এই স্বল্প পরিসরেই এই দল সাহিত্যভিত্তিক কিছু ব্যতিক্রমী ও সম্পূর্ণ ভিন্নমাত্রিক নাট্য প্রযোজনার মাধ্যমে নজর কেড়েছে শহরের নাট্যগুণীজনেদের।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -