হেমামালিনীকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন জিতেন্দ্র, এভাবে পরিকল্পনা বাধ সেধেছিলেন ধর্মেন্দ্র
উল্লেখ্য, সপনো কে সওদাগর-এৎ নায়িকা হিসেবে প্রথমে বৈজয়ন্তীমালার অভিনয়ের কথা ছিল, যাতে সঙ্গম সিনেমার জুটির জাদু ফের একবার পর্দায় তুলে ধরা যায়। কিন্তু বৈজয়ন্তীমালার সঙ্গে রাজের প্রেমপ্রসঙ্গ নিয়ে পরিবারে এতটাই ঝড় ওঠে যে সেই জুটি আর হতে পারেনি। বরং সিনেমায় সুযোগ পান দক্ষিণী সুন্দরী ও নৃত্যকলায় পারদর্শী হেমামালিনী।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In App১৯৪৮-এর ১৬ অক্টোবর জন্ম হেমামালিনীর। আজ তাঁর ৭২ তম জন্মদিন। সেইসঙ্গে বলিউডেও ৫০ বছর পূর্ণ হল তাঁর। বলিউডের গ্রেট শোম্যান রাজ কপূরের সঙ্গে ১৯৬৮-তে সপনো কে সওদাগর সিনেমা মুক্তি পেয়েছিল। ওই সময় হেমামালিনীর বয়স ছিল ২০। আর রাজ কপূরের ৪৪। নায়ক ও নায়িকার মধ্যে বয়সের ব্যবধান ছিল ২৪ বছরের। সেই সিনেমা দর্শকদের মনে দাগ কাটতে পারেনি। কিন্তু সপনো কে সওদাগর-এর নায়িকা দর্শকের ড্রিমগার্ল হয়ে ওঠেন।
কিন্তু জিতেন্দ্র সঞ্জীব কুমারের নয়, নিজের মনের কথা তুলে ধরেন। শুধু তাই নয়, ওই সময় ধর্মেন্দ্রও হেমামালিনীকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। তিনি হেমামালিনীকে নিয়ে চেন্নাই চলে গিয়েছিলেন। সেখানেই হেমামালিনীকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন জিতেন্দ্র। কিন্তু সেই বিয়ে রুখতে ধর্মেন্দ্র জিতেন্দ্রর তৎকালীন গার্লফ্রেন্ড শোভাকে নিয়ে সেখানে পৌঁছে যান। আর এভাবে বিয়ে আটকে যায়।
রূপোলি পর্দার অনেক বড় তারকার মনেও তুফান তুলেছিলেন হেমামালিনী। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন জিতেন্দ্রও। আসলে অভিনেতা সঞ্জীব কুমারও হেমামালিনীর প্রতি মুগ্ধ ছিলেন। তিনি তাঁর ভালোবাসার কথা জানাতে হেমামালিনীর কাছে জিতেন্দ্রকে পাঠিয়েছিলেন।
হেমামালিনীর পরও অনেক অভিনেত্রী রূপোলি পর্দায় নিজেদের প্রতিভায় দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। কিন্তু হেমামালিনী এখনও ড্রিমগার্ল। এতগুলি বছরে বলিউডের ড্রিমগার্ল-এর তকমা এখনও তাঁরই। এখন তিনি সমান আকর্ষণীয় এবং তাঁর ড্রিমগার্ল অভিধা এতটুকু অত্যূক্তি মনে হয় না।
৭২ বছরে পা দিলেন বলিউডের প্রবীণ অভিনেত্রী হেমামালিনী। তাঁর সৌন্দর্য্য, গ্ল্যামার ও অভিনয়ে অসাধারণ পারদর্শীতা দর্শককের স্মৃতিতে উজ্জ্বল। বেশ কয়েক বছর ধরেই রূপোলি পর্দা থেকে দূরে রয়েছেন তিনি।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -