Satyajit Death Anniversary: চুনিবালার মুখে শোনা ছড়া, ফিরে দেখা ফেলুদা, গুপি-বাঘার শ্যুটিংয়ের অজানা গল্প
আজ সত্যজিৎ রায়ের প্রয়াণ দিবস। বাংলা চলচ্চিত্র জগত চিরকাল তাঁকে মনে রাখবে সর্বকালের অন্যতম সেরা পরিচালক হিসাবে। মৃত্যুদিনে ফিরে দেখা কিংবদন্তীর পরিচালিত অবস্মরণীয় কিছু সিনেমা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appসত্যজিৎ রায় পরিচালিত এই ছবিটি দশকের পর দশক ধরে দর্শকদের মুগ্ধ করে আসছে। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা অবলম্বনে তৈরি 'পথের পাঁচালী' থেকেই শুরু হয় অপুর গল্প। এরপর 'অপরাজিত' ও 'অপুর সংসার' ছবিতে দেখানো হয়েছিল অপুর গোটা জীবন। এই তিনটি ছবি মিলিয়ে অপু ট্রিলজি সত্যজিৎ রায়ের এক অবিস্মরণীয় সৃষ্টি। পথের পাঁচালি ছবিতে ইন্দির ঠাকুরণ ওরফে চুনিবালা দেবীকে নিজের অভিজ্ঞতা একটি বইতে লিখেছিলেন সত্য়জিৎ। প্রথমবার যখন তিনি চুনিবালা দেবীর সঙ্গে দেখা করতে যান, তখন তাঁকে একটি কবিতা আবৃত্তি করতে বলেছিলেন। ঘুম পাড়ানি মাসি পিসি ছড়াটি পুরোটা আবৃত্তি করে শুনিয়েছিলেন চুনিবালা। এরপর সত্যজিৎ প্রশ্ন করেন, দূরের গ্রামে গিয়ে গোটা দিন শ্যুটিং করতে হবে। রাজি হয়ে যান চুনিবালা। শুরু হয় কাজ। সত্যজিৎ রায় বহুবার বলেছেন যে চুনিবালা দেবীকে না পেলে পথের পাঁচালী বানানোই হত না।
'নষ্টনীড়' অবলম্বনে তৈরি 'চারুলতা' ছবিটি সত্যজিৎ রায়ের অন্যতম সেরা কাজের মধ্যে একটি। প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন মাধবী মুখোপাধ্যায় ও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।
'নায়ক' ছবিতে একজন রুপোলি পর্দার নায়কের জীবনের বিভিন্ন দিক বর্ণনা করেছিলেন সত্যজিৎ। নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন উত্তম কুমার।
'গুপি গাইন বাঘা বাইন' ও হীরক রাজার দেশে'। এই দুটি বইতে এক অনবদ্য ম্যাজিক করে গিয়েছেন পরিচালক সত্যজিৎ। আট থেকে আশির কাছেই এই ছবিগুলি অর্থপূর্ণ। হীরক রাজার দেশে ছবিটির গল্প অনুযায়ী বাঘের সঙ্গে দৃশ্য ছিল। পছন্দমত বাঘ খুঁজে পাওয়ার জন্য একাধিক সার্কাস কোম্পানিতে ঘোরাফেরা করেছিলেন তিনি।'গুপি গাইন বাঘা বাইন' ও হীরক রাজার দেশে'। এই দুটি বইতে এক অনবদ্য ম্যাজিক করে গিয়েছেন পরিচালক সত্যজিৎ। আট থেকে আশির কাছেই এই ছবিগুলি অর্থপূর্ণ। হীরক রাজার দেশে ছবিটির গল্প অনুযায়ী বাঘের সঙ্গে দৃশ্য ছিল। পছন্দমত বাঘ খুঁজে পাওয়ার জন্য একাধিক সার্কাস কোম্পানিতে ঘোরাফেরা করেছিলেন তিনি। শেষে মিস্টার থোরাট বলে এক ব্যক্তির কাছে পছন্দমত বাঘের হদিশ পান তিনি। তাঁকে দিয়ে অনেক কষ্টে শ্যুটিং সারা হয়। কিন্তু কলকাতায় ফেরার পর দেখা যায়, ক্যামেরা গন্ডোগোল করেছে। ফলে গোটা দৃশ্যের কিছুই শ্যুট হয়নি। আবার গ্রামে ফিরে গিয়ে ওই গোটা দৃশ্যের দ্বিতীয়বার শ্যুটিং করতে হয়েছিল সত্যজিৎ রায়কে।
ফেলুদা ও সত্যজিৎ রায়কে আলাদা করা মুশকিল। তাঁর পরিচালিত সোনার কেল্লা ও জয় বাবা ফেলুনাথ ছবি এখনও রোমাঞ্চিত করে কিশোর মনকে। সত্যজিতের ফেলুদা ছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। জয় বাবা ফেলুনাথ ছবিটি করতে গিয়েও একটি মজার ঘটনা ঘটেছিল। ছবির প্রেক্ষাপট বেনারসের। শ্যুটিং এ হয়েছিল সেখানেই। একটি দৃশ্য়ে কাশির গলি দিয়ে হেঁটে আসার কথা ফেলুদা, তোপসে ও লালমোহনবাবুর। আগের দিন গিয়ে পছন্দ করে আসা হয়েছিল শ্যুটিংয়ের জায়গাটি। দৃশ্যটি রাতের। যথাসময়ে সেখানে পৌঁছে দেখা গেল, ইতিমধ্যেই রটে গিয়েছে সেখানে শ্যুটিং হবে। এক বাঙালি ব্যবসায়ী তাই গোটা গলি জুড়ে তার দোকানের পোস্টার লাগিয়ে দিয়েছেন। গোটা গলি জুড়ে জ্বলজ্বল করছে ‘রিঙ্কু সিল্ক হাউজ’। সেই বিজ্ঞাপন সরিয়ে তারপর শ্যুটিং শুরু করতে হয়েছিল।
শাখা-প্রশাখা ছবিটিও সত্যজিৎ রায়ের অন্যতম সেরা পরিচালনা।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কাহিনী অবলম্বনে 'অরণ্যের দিনরাত্রি' ছবিটি তুলে ধরেছিল সমাজের বিভিন্ন দিককে।
ধর্মীয় অন্ধবিশ্বাস কীভাবে মানুষের জীবনকে নষ্ট করে দেয় সেই কাহিনী 'দেবী' ছবিতে ফুটিয়ে তুলেছিলেন সত্যজিৎ রায়।
'আগন্তুক' সত্যজিৎ রায়ের অনন্য সৃষ্টি। উৎপল দত্তের অভিনয়েই যেন প্রাণ পেয়েছিল ছবিটি।
সত্যজিৎ রায় পরিচালিত, সন্ধ্যা রায় ও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় অভিনীত অশনি সংকেত ছবিটিও প্রশংসিত হয়েছিল।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -