Sonu Sood on Coronavirus: 'করোনায় অনাথ শিশুদের পড়াশোনা হোক নিখরচায়' সরকারের আছে আবেদন সোনুর
তিনি করোনাকালের 'মসিহা'। সোনু সুদ। বলিউডের খলনায়ক এখন বাস্তবে অনেকেই কাছেই নায়ক। অক্সিজেন, বেড, রেমডিসিভির, চিকিৎসা, খাবার, পরিবহণ... মুশকিল আসান সোনু সুদ। সাহায্যের আবেদন এলেই যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন তিনি। সম্প্রতি নিজেও করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। সেরেও উঠেছেন। কিন্তু থেমে থাকেনি তাঁর সাহায্য। করোনা পরিস্থিতিতেও ক্রমাগত চিকিৎসার ব্যবস্থা করে যাচ্ছেন তিনি। করোনা আক্রান্ত যুবতীকে এয়ারলিফ্ট করে নাগপুর থেকে হায়দরাবাদ পৌঁছে দিয়েছেন সোনু।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appআজ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন সোনু। একটি ভিডিও সেখানে তিনি তুলে ধরেছেন এক গভীর সমস্যার কথা। দেশে ক্রমশই গুরুতর হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি। অনেকেই ভাইরাস প্রকোপে হারিয়েছেন প্রিয়জনকে। এদের মধ্যে রয়েছে শিশুরাও। তাঁদের কথা উঠে এল সোনু সুদের কথায়।
ভিডিওতে সোনু বলছেন, ' আমি আজ সরকার ও যাঁরা সাহায্য করতে এগিয়ে আসতে চান এমন মানুষদের কাছে একটা অনুরোধ করতে চাই। আমরা দেখেছি, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে অনেকেই তাঁদের প্রিয়জনকে হারিয়ে ফেলেছেন। কেউ মা কে হারিয়েছে, কেউ বাবা কে। কেউ আবার উভয়কেই। এদের মধ্যে কারও বয়স ৮, কারও ১২ বা তারও কম। আমার বার বার মনে হয় এই সমস্ত শিশুদের ভবিষ্যতের কী হবে?'
সোনু যোগ করলেন, 'আমার মনে হয়, এমন একটি নিয়ম হওয়া উচিত যাতে এই সমস্ত শিশুদের পড়াশোনা নিখরচায় হয়। সরকারি, বেসরকারি যে যেই বিদ্যালয়েই পড়ুক না কেন তাঁদের পড়াশোনা নিখরচায় হোক। এমনকি মেডিক্যাল থেকে শুরু করে তাদের ক্ষেত্রে যে কোনও ক্ষেত্রেই শিক্ষায় অর্থ খরচ হওয়া উচিত নয়।'
সোনু বলছেন, 'অনেক পরিবারই এমন রয়েছেন যাঁরা পরিবারের মাথাকে হারিয়েছেন। অর্থাৎ একমাত্র উপার্জনকারী সদস্যকে হারিয়েছেন। তাঁদের জন্য এমন কিছু নিয়ম হওয়া উচিত যাতে সেইসব সংসারগুলো চলে যায়।'
সোনু শেষ করেন এই বার্তা দিয়ে যে, 'যাঁরা ক্ষমতার অধিকারী বা যাঁরা সত্যিই নিয়ম বানাতে পারেন, তাঁদের কাছে আমি অনুরোধ করব এগিয়ে আসার জন্য। তাঁরা যেন এই সমস্ত পরিবারের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার কথা ভাবেন।'
বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছোট্ট ভিডিও শেয়ার করেছেন তিনি। ৪৬ সেকেন্ডের ভিডিও জুড়ে ক্রমাগত আসছে মেসেজ, ফোন। ভিডিওটি শেয়ার করে সোনু লিখেছেন, 'এই গতিতে সাহায্যের আবেদন আসছে। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি সবাইকে সাহায্য় করার। যদি কারোও সাহায্যের উত্তর না দিতে পারি আমাদের ক্ষমা করবেন।' এর কয়েকদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ট্যুইট করেছিলেন সোনু সুদ। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, রাতে ঘুমাতে পারছেন না তিনি। সারাদিন মানুষের সাহায্যের আর্তি আসছে।
গোটা দিন জুড়ে হাসপাতালে বেড, রেমডেসিভির ও অক্সিজেন যোগাতে ব্যস্ত থেকেছেন তিনি। কখনও প্রয়োজন মত যোগান দিতে না পারার হতাশা ঝরে পড়েছে তাঁর লেখায়। ট্যুইট করে লিখেছেন, 'আজকে হাসপাতালের বেডের প্রয়োজন ছিল ৫৭০টা। আমি মাত্র ১১২টি বেডের ব্যবস্থা করতে পেরেছি। আজ ১৪৭৭ রেমডেসিভির প্রয়োজন ছিল। আমি মাত্র ১৮টা জোগাড় করে দিতে পেরেছি। হ্যাঁ, আমরা হেরে গিয়েছি। আর আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থাও।'
আবার কখনও তাঁর ট্যুইটেই শোনা গিয়েছে আশার কথা। সোনু গতকালই একটি ট্যুইট করে লিখেছেন, 'অক্সিজেন, রেমডিসিভির আর বেড। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ব্যবস্থা চলছে। কখনও আমি জিতি, কখনও হেরে যাই। আমি আমার সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করছি। সবসময় পাশে রয়েছি।'
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -