Irrfan Khan Birthday: ‘শেহজাদা’ ইরফান, ফিরে দেখা বলিউডের অন্য খানকে
দিনরাত এক করে পরিশ্রম। কিন্তু চেহারায় তা ফুটে উঠতে দেননি। এমকি ভাবে মারণ রোগের সঙ্গে লড়ছেন, একেবারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মুখ ফোটেনি তাঁর।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appপদবী খান হলেও বলিউড ‘খানদান’-এ কখনও শামিল হননি ইরফান খান। আর তা-ই অনন্য করে তুলেছে তাঁকে। জন্মদিনে ফিরে দেখা অভিনেতাকে।
রাজস্থানের জমিদার পরিবারে জন্ম। রাজ পরিবারের রক্ত শরীরে। পারিবারিক প্রথা মেনে একটা বয়স পর্যন্ত নামের আগে শেহজাদা লিখতেন। বাবা চেয়েছিলেন পারিবারিক ব্যবসা সামলাক ছেলে। কিন্তু অভিনয়ের পোকা ইরফান সে পথে যেতে দেয়নি।
ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা-য় থাকাকালীন পরিচয় সুতপা শিকদারের সঙ্গে। ১৯৯৫ সালে পরিনয়। সুতপা সংলাপ লেখেন। সংসার সামলান এবং শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ইরফানের পাশ থেকে ওঠেননি।
শুরুতে দীর্ঘ দিন টিভি সিরিয়ালে কাজ করেন ইরফান। তার ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা-র শেষ বছরে মীরা নায়ারের ‘সালাম বম্বে’ ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পান। কিন্তু পরিচিত মুখ না হওয়ায় তাঁর চরিত্রের অনেকটাই কেটেছেঁটে বাদ দেয়া হয়।
৬ ফুট ১ ইঞ্চি উচ্চতার ইরফান শুধু দৈহিক গঠনের দিক থেকেই নয়, অভিনেতা হিসেবেও সমসাময়িক সকলের থেকে উচ্চতা বাড়িয়ে নিয়েছিলেন নিজের। জ্যোতিষ বা সংখ্যাতত্ত্বে বিশ্বাসী না হলেও, শুনতে ভাল লাগে বলে ইংরেজিতে নামের বানানে বাড়তি ‘R’ যোগ করেন ইরফান।
‘স্লামডগ মিলিয়নেয়ার’, ‘লাইফ অফ পাই’, ‘দ্য আমেজিং স্পাইডারম্যান’, ‘ইনফার্নো’-সহ হলিউডের বিগ বাজেট ছবিতে অভিনয় করেছেন ইরফান। ‘ইন্টারস্টেলার’ ছবিতে তাঁকে চেয়েছিলেন ক্রিস্টোফার নোলান। কিন্তু ‘লাঞ্চবক্স’ ছবিকে আগে থেকেই সময় দিয়ে রেখেছিলেন ইরফান। কথার খেলাপ হবে বলে নোলানকে ফিরিয়ে দেন ইরফান।
ইরফানের অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে নিজে থেকে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন হলিউডের ‘প্রিটি উওম্যান’ জুলিয়া রবার্টস। ২০১১ সালে ইরফান ‘পদ্মশ্রী’ সম্মান পান। রাজস্থান সরকারের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরও ছিলেন ইরফান।
রাত ৩টে পর্যন্ত বই পড়ার অভ্যাস ছিল ইরফানের। সপ্তাহে অন্তত একটা হলিউড ছবির চিত্রনাট্য পড়তেন।
এক জঙ্গির সঙ্গে নামের সঙ্গে মিল থাকায় ইরফানকে একাধিক বার বিমানবন্দরে আটকেছেন আমেরিকার নিরাপত্তাকর্মীরা। পরবর্তী কালে অভিনয় দেখে তাঁকে চিনতে শুরু করেন সকলে। তখন তল্লাশির বদলে সম্মান জুটত।
জাতীয় পুরস্কার, ফিল্মফেয়ার, এশিয়ান ফিল্মস অ্যাওয়ার্ড। ইন্ডেপেন্ডেন্ট স্পিরিট-সহ অজস্র পুরস্কার এবং সম্মান পেয়েছেন ইরফান। কিন্তু ক্যানসার শরীরে থাবা বসানোর পরও নিভৃতে, শান্তিতে মৃত্যু চেয়েছিলেন ইরফান। নিজের কবরও চেয়েছিলেন সাদামাটা, যাতে কারও থেকে আলাদা করা না যায় তাঁকে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -